ছাত্রলীগের ২১ জনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিল চুয়েট
Published: 7th, February 2025 GMT
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থবিরোধী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে হল থেকে বহিষ্কার এবং ৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তারা সকলেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত শেষে পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শাস্তি প্রাপ্তদের ৮ জন সহসভাপতি, ৭ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫ জন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
আবাসিক হল থেকে বহিষ্কৃত ১৮ নেতা হলেন, সহ-সভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো.
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার ও মদপানে অভিযুক্ত চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাতে ভিন্ন ভিন্ন নোটিশে বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কারের বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ও অভিযোগকারীদের সাক্ষাৎকার শেষে স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ন্যূনতম এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের জবাব ও আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের একাডেমিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া জানান, এটি দীর্ঘদিন থেকে চলমান একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যদি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তবে তাদের শাস্তি আরও বর্ধিত করা হবে। আর যদি অভিযুক্ত কেউ অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই প্রমাণ করতে পারে তবে তার শাস্তি স্থগিত করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরখানে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর উত্তরখানে গ্যাসের লাইন লিকেজের আগুনে দগ্ধ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন স্বামী ময়নুল (৪০) ও স্ত্রী আনোয়ারা (৩২)। ময়নুল পেশায় রিকশাচালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দম্পতি দগ্ধ হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে একজন আর রাত ১০টার পরে অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি উত্তরখানের ভূইয়াবাড়ি বাঁশতলায় একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন লাইটার দিয়ে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় আগুনে তাঁরা দগ্ধ হন। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভান। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের সড়কে সিটি করপোরেশনের কাজ চলছিল। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় ওই বাসার গ্যাসের লাইন ফেটে যায়। গত কয়েক দিন ধরেই ফেটে যাওয়া লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সেখান থেকেই গ্যাস লিকেজ হয়েছে। পরে বুধবার রাতেই ফায়ার সার্ভিস এসে পুলিশের উপস্থিতিতে গ্যাস লাইনের লিকেজ বন্ধ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।