বিবিসি বাংলার সমালোচনা করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “বিবিসি বাংলার সংবাদ নিয়ে আমার সাম্প্রতিক বক্তব্য সংশোধন করতে চাই।” 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করে নেন।

পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, “আমি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের বিষয়ে যা লিখেছিলাম, তার কিছু অংশের সংশোধন ও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। প্রথমত, আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে আমার দাবির বিপরীতে বিবিসি বাংলা বারবার হাসিনা ভারতে ‘পালিয়ে গেছেন’ লিখেছে। দ্বিতীয়ত, আমি এটাও বুঝতে পেরেছি যে, হাসিনা সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করার নিষেধাজ্ঞা জারির পরও তারা তারেক রহমানের সংবাদ প্রচার করেছে। এখন তারেক রহমান বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেবেন কিনা সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।”

আরো পড়ুন:

রাইজিংবিডির বনভোজন ও প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাইজিংবিডির বনভোজন ও প্রতিনিধি সম্মেলন চলছে

শফিকুল আলম বলেন, “এর বাইরে বিবিসি বাংলা হাসিনা ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল দাবি করে যা লিখেছিলাম, তা আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি।”

শফিকুল আলম আরো বলেন, “যদিও আমি ভারসাম্য এবং প্রেক্ষাপটের ঘাটতির জন্য ব্যক্তিগত গল্পগুলোকে দোষ দিতে পারি, তবে আমি স্বীকার করি যে বিবিসি বাংলাদেশের ঘটনাগুলো সঠিক ও ন্যায্যভাবে রিপোর্ট করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার ও হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের ফেলে যাওয়া ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে।”

বাংলাদেশের সব সাংবাদিককে বিবিসি বাংলার মানদণ্ডেই কাজ করা উচিত জানিয়ে প্রেস সচিব আরো বলেন, “ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই বিবিসি বাংলার রিপোর্ট করার ক্ষমতা ও তৎপরতা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়বার এক অপরিহার্য স্তম্ভ।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল ফলাফল

প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ভুল রেজাল্ট নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শত শত শিক্ষার্থী প্রতিবছর জানায়, তাদের প্রাপ্ত নম্বর সঠিক নয়, জিপিএ মেলে না, এমনকি ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফলাফল ‘ফেল’ দেখাচ্ছে। এই ভুলের চরম খেসারত দিতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। কেউ ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারায়, কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এটি শুধু ভয়াবহ নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য চরম লজ্জারও।

অভিযোগ বারবার উঠলেও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে কোনো দায় স্বীকার বা জবাবদিহির প্রবণতা দেখা যায় না। সবকিছু চাপানো হয় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ কিংবা ‘সিস্টেম ত্রুটি’র ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সিস্টেম ত্রুটি কেন বারবার হয়? কেন এখনো আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়নি?

একটি শিক্ষার্থীর জীবনে ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নম্বর কম বা বেশি হওয়া মানে তার স্বপ্নভঙ্গ। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষার্থীরা সীমিত সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে। ভুল রেজাল্ট তাদের সেই প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়।

এই সংকট নিরসনে শিক্ষা বোর্ডের উচিত ফল প্রকাশের আগে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা, রিভিউ বা পুনর্নিরীক্ষার ফি ও সময়সীমা হ্রাস করে তা সহজলভ্য করা এবং যঁারা এ ধরনের ভুল করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্বপন বিশ্বাস

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রধান শিক্ষক

শালিখা, মাগুরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ