ওয়ানডে অভিষেকে ব্রিটকজের বিশ্ব রেকর্ড
Published: 10th, February 2025 GMT
যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য অভিষেক ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু। আজীবনের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত। আর সেই অভিষেকে যদি গড়া যায় বিশ্ব রেকর্ড!
আজ লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তেমন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাসম্যান ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন, যা ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ। ব্রিটজকে ভেঙেছেন কিংবদন্তি ক্যারিবীয় ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্সের ৪৬ বছর টিকে থাকা রেকর্ড।
অথচ ২৬ বছর বয়সী ব্রিটজকের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে খেলারই কথা ছিল না। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০–এর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সব ক্রিকেটার আজকের ম্যাচের আগে লাহোরে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা সব ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে না বলেই ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্রিটজকে যুক্ত করা হয়েছিল। আজ সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাঁর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় ওয়ানডে ক্যাপও। আর এমন প্রেক্ষাপটে মাঠে নেমেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন রেকর্ড বইয়ে।
অভিষেকে অনেক ব্যাটসম্যান অস্বস্তিতে ভুগলেও ব্রিটজকে শুরু থেকেই ছিলেন স্বচ্ছন্দ। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম বলে নিয়েছেন স্ট্রাইক, ম্যাট হেনরির বলে নিয়েছেন সিঙ্গেল। এরপর ৫০ ছুঁয়েছেন ৬৮তম বলে, ১০০ রান ১২৮ বলে। ওয়ানডে অভিষেকে ব্রিটজকের আগেও সেঞ্চুরি আছে ১৮ জনের। তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর এক এক করে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেন এই উইকেটকিপার –ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের ৪৫তম ওভারের শেষ বলে বেন সিয়ার্সকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছয় মেরে পেরিয়ে যান হেইন্সকেও। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে ১৪৮ রান করেছিলেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। এত দিন পর্যন্ত এটিই ছিল ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
বিশ্ব রেকর্ড গড়া ব্রিটজকে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৪৮ বলে ১৫০ রান করে। তাঁর ১১ চার ৫ ছক্কায় গড়া ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৪ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ব র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ