‘কী বলব, কথা বলার কি সুযোগ আছে’, আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী
Published: 11th, February 2025 GMT
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে কিছু বলতে চাইলে উত্তর দেন, ‘কী বলব, কথা বলার কি সুযোগ আছে?’।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আলম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। দীপঙ্কর তালুকদারকে দুপুর ১টার কিছু সময় পর আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে মূল নথি না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে বলে আদেশ দেন আদালত।
পরে দীপঙ্কর তালুকদার আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সাংবাদিকরা কিছু বলতে চাইলে দীপঙ্কর তালুকদার উত্তর দেন, ‘কী বলব, কথা বলার কি সুযোগ আছে। এখানে সেই সুযোগ আছে? কথা বললেই তো সামনের দিকে যেতে হবে।’’
পরে তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলম কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমের জামিন২৮ এপ্রিল ২০২৫চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মেঘনা আলম ও তাঁর পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় মেঘনা আলম ও তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়। ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ৩০ দিনের আটকাদেশ নিয়ে ১০ এপ্রিল গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি ওই কারাগারেই বন্দী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তাঁর আটকাদেশ প্রত্যাহার ও ধানমন্ডি থানার অন্য একটি মামলায় জামিন পাওয়ায় তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১৭ এপ্রিল ২০২৫