বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাতিল হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘোষণা দেন সচিবালয়ের আলোচনা করতে যাওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্য জান্নাতুল নাইম। 

তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব। ১২টা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’’

প্রতিনিধিদলের সদস্য জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘‘সচিবালয়ে গিয়ে আমরা সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। পূর্বে আমাদের যেমন আশ্বস্ত করা হয়েছিল, এবারো সেই একইভাবে বলা হয়; এটা আদালতের রায়, এর এখতিয়ার হচ্ছে বিচারকের। তারা বললেন, সরকারের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে।’’

জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘‘এরপর আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাই। উপদেষ্টা বললেন, আপনাদের ৬৫৩১ জনের কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না। এরপর তো আমাদের আর কিছু বলার থাকে না। আমরা উপদেষ্টা মহোদয়কে একটা কথাই বললাম, যেন অতি দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সব সময় শুধু আশ্বস্তই করা হয়েছে। আগেরবারের আশ্বস্তে আমরা ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু এবার আর ফিরব না। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, আমরা রাজপথে থাকব ও কর্মসূচি চলমান থাকবে।’’

এর আগে, গতকালও প্রাথমিকের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছিলেন। পরে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেয়। তখন বেশ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন থামছে না।

তারা আরো বলছেন, সুপারিশপ্রাপ্তরা নিজ জেলা সিভিল সার্জনে এরই মধ্যে মেডিকেল টেস্ট করে এবং জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ফরম জমা দিয়েছে। দেশের সব জেলার প্রায় সব উপজেলাগুলোর চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদানপত্রও হাতে পেয়েছেন। এরপরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার সীমাহীন লাঞ্চনার মধ্যে পড়েছে। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মালাইকার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাজির না হলেই বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন মুম্বাইয়ের আদালত। ২০১২ সালের একটি মামলার শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত। আগামী ৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাজির না হলেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি হবে। খবর বলিউড হাঙ্গামার

সমন জারির পরও গত ২৯ এপ্রিল মামলার শুনানিতে হাজির ছিলেন না মালাইকা। শুনানিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এস জানওয়ার নিজের পর্যবেক্ষণে বলেন, অভিনেত্রী ইচ্ছা করেই শুনানিতে হাজির হচ্ছেন না, তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন না।

মালাইকা অরোরা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ