নাগা চৈতন্যকে অবসাদে ফেলে চলে যান সামান্থা: নাগার্জুর
Published: 12th, February 2025 GMT
জনপ্রিয় দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন দক্ষিণী তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু তাদের সংসার বেশি দিন টেকেনি। ২০২১ সালে চার বছরের সংসার ইতি টানেন এই দুই তারকা।
ছেলে নাগা চৈতন্যকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন দক্ষিণী তারকা নাগার্জুন। যদিও শোভিতার সঙ্গে নাগার দ্বিতীয় বিয়ের পর নিশ্চিন্ত বাবা। তবে প্রাক্তন বৌমা সামান্থাকে ছেলেকে অবসাদে ফেলে চলে যাওয়ার জন্য দোষারোপ করলেন নাগার্জুন।
সামান্থার সঙ্গে নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদের পর থেকে সমাজমাধ্যমে রোষের মুখে পড়তে হয় নাগাকে। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে নাগার দ্বিতীয় বিয়ের কারণ খুঁজেছে নেটিজেনরা।
২০১৭ সালে সামান্থাকে বিয়ের পর ২০২১-এ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন দু’জনে। দু’জনে মিলেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এখনও তাঁরা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু সমাজমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে চর্চা হয় তাতে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। অভিনেতা সাফ বলেন, ‘লোকে এমন করছেন যেন আমি কোনও দোষ করেছি।’
এবার ছেলের কথার রেষ টেনে নাগার্জুন বলেন, ‘আসলে নাগা খুব দুঃখে ছিল। সে কারও কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না। বাবা হিসাবে আমি বুঝতাম। সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাগা অবসাদে ডুবে গিয়েছিল। এখন ওকে খুশি দেখে আমি নিশ্চিন্ত।’
যদিও নাগার্জুনের এই মন্তব্য ভালভাবে গ্রহণ করেননি সামান্থার অনুরাগীরা। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস
কানাডার সাধারণ নির্বাচনে মার্ক কার্নির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি হাউস অব কমন্সে পর্যাপ্ত ভোট পেয়ে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে প্রাথমিক ফলাফলে আভাস মিলেছে।
তবে মার্ক কার্নির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ ও সিবিসি।
সিবিসি বলছে, ৩৪৩টি আসনের মধ্যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তারাই পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের ভোটের ফলাফলের জন্য, যেখানে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে লিবারেলরা ১৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৯৩টি আসনে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই লিবারেল পার্টির বর্তমান নেতা মার্ক কার্নি মার্চে নির্বাচনের ডাক দেন। এই দৌড়ে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোলিয়েভ্রে।
নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর গত মাসে কানাডার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়, তখন লিবারেলদের আসন ছিল ১৫২টি এবং কনজারভেটিভদের ছিল ১২০টি আসন। বাকি আসনগুলো ব্লক কুইবেকোইস (৩৩), নিউ ডেমোক্র্যাট পার্টি (২৪) এবং গ্রিন পার্টির (২) দখলে ছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সাত মিলিয়নেরও বেশি কানাডিয়ান আগাম ভোট দিয়েছেন।
সোমবার সকাল সাতটায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।