আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার
Published: 13th, February 2025 GMT
ত্রিদেশীয় সিরিজে গতকাল করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, সৌদ শাকিল ও কামরান গুলামকে জরিমানা করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আচরণবিধির লেভেল ওয়ান ভঙ্গ করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনবিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টপকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে পাকিস্তান, শীর্ষে ভারতই ৫৮ মিনিট আগেপেসার শাহিন আফ্রিদিকে তাঁর ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আচরণবিধির ২.
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের ম্যাচ ফি ৬ লাখ ৪৪ হাজার রুপি। ২৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা মানে এই ম্যাচ ফি থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার রুপি (৭০ হাজার টাকা) কেটে নেওয়া হয়েছে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠার এ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২৮তম ওভারে শাহিনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ম্যাথু ব্রিৎজকে সিঙ্গেল নিতে গেলে শাহিন ইচ্ছা করে তাঁর দৌড়ে বাধা তৈরি করেন। এতে শারীরিকভাবে সংঘর্ষ হয় দুই খেলোয়াড়ের এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।
আরও পড়ুনপ্রথম দুই ম্যাচে ২৩৩ রান, পাকিস্তানে ইতিহাস গড়েই বাড়ি ফিরছেন ব্রিটজকে৪ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসেই ২৯তম ওভারে আরেকটি ঘটনা ঘটে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা রান আউট হওয়ার পর তাঁর খুব কাছে গিয়ে উদ্যাপন করেন সৌদ শাকিল এবং বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা কামরান গুলাম। এই দুই খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে, যা পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ রুপি করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই খেলোয়াড়ের মোট জরিমানার অঙ্ক—৪০ হাজার ১৪৬ টাকা। সব মিলিয়ে তিন খেলোয়াড়ের মোট জরিমানার অঙ্ক ১ লাখ ১০ হাজার ১৪৬ টাকা।
শাকিল ও গুলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধির ২.৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আর্থিক জরিমানা ছাড়াও এই তিন খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলার রেকর্ডে ১টি করে ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এই তিন খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলা ভাঙার কোনো রেকর্ড নেই। সবাই শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
আগামীকাল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা