ত্রিদেশীয় সিরিজে গতকাল করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, সৌদ শাকিল ও কামরান গুলামকে জরিমানা করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আচরণবিধির লেভেল ওয়ান ভঙ্গ করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনবিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টপকে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে পাকিস্তান, শীর্ষে ভারতই ৫৮ মিনিট আগে

পেসার শাহিন আফ্রিদিকে তাঁর ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আচরণবিধির ২.

১২ ধারা ভেঙেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার, খেলোয়াড়দের সাপোর্ট পারসোনেল, খেলোয়াড় কিংবা যে কারও (দর্শকও) সঙ্গে অসংগত শারীরিক সংঘর্ষে’ জড়ালে আচরণবিধি ভাঙা হয়েছে বলে ধরা হবে।

ওয়ানডেতে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের ম্যাচ ফি ৬ লাখ ৪৪ হাজার রুপি। ২৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা মানে এই ম্যাচ ফি থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার রুপি (৭০ হাজার টাকা) কেটে নেওয়া হয়েছে।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠার এ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২৮তম ওভারে শাহিনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ম্যাথু ব্রিৎজকে সিঙ্গেল নিতে গেলে শাহিন ইচ্ছা করে তাঁর দৌড়ে বাধা তৈরি করেন। এতে শারীরিকভাবে সংঘর্ষ হয় দুই খেলোয়াড়ের এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।

আরও পড়ুনপ্রথম দুই ম্যাচে ২৩৩ রান, পাকিস্তানে ইতিহাস গড়েই বাড়ি ফিরছেন ব্রিটজকে৪ ঘণ্টা আগে

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসেই ২৯তম ওভারে আরেকটি ঘটনা ঘটে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা রান আউট হওয়ার পর তাঁর খুব কাছে গিয়ে উদ্‌যাপন করেন সৌদ শাকিল এবং বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা কামরান গুলাম। এই দুই খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে, যা পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬৪ হাজার ৪০০ রুপি করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই খেলোয়াড়ের মোট জরিমানার অঙ্ক—৪০ হাজার ১৪৬ টাকা। সব মিলিয়ে তিন খেলোয়াড়ের মোট জরিমানার অঙ্ক ১ লাখ ১০ হাজার ১৪৬ টাকা।

শাকিল ও গুলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধির ২.৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আর্থিক জরিমানা ছাড়াও এই তিন খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলার রেকর্ডে ১টি করে ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এই তিন খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলা ভাঙার কোনো রেকর্ড নেই। সবাই শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

আগামীকাল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের বিধান রেখে রাকসুর আচরণবিধি প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (রাকসু) হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে।

আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিল ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার কিংবা প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বা রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি আরো কঠিন দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে প্রয়োজনে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়েও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখান করে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. আমজাদ হোসেনের সাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত আচরণবিধিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এই আচরণবিধি কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিধি অনুযায়ী, প্রার্থী নিজে অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশী সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে না। প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় অন্য কেউ কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

বিধিতে আরো বলা হয়েছে, ডোপ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনোরূপ শোডাউন বা মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের দিন ভোটারদের আনা-নেওয়ার জন্য কোনো প্রকার যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।  নির্বাচনের দিন প্রধান রিটার্নিং অফিসার অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় কোনো যান চলাচল করতে পারবে না। নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে বাইসাইকেল ও রিকশা ব্যবহার করতে পারবে।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে। প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। হল প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার ব্যতীত অন্য কেউ প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবে না। ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা যাবে না।

তাদের আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে পোস্টারের আকার অনধিক ৬০×৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি হবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ভবনের দেয়ালে নির্বাচন সংক্রান্ত লেখনী ও পোস্টার লাগানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কোন বক্তব্য ব্যবহার করা যাবে না। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিতব্য সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে প্রক্টরের অনুমতি নিতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিজ নিজ পরিচয়পত্র বহন করতে হবে। কোনো সময়ই বহিরাগত কেউ আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। প্রার্থী পরিচিতি সভা ছাড়া অন্য কোনো সভায় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

ভোটাররা নিজ নিজ হলের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবে। অনুমোতি ছাড়া কোন বাক্তি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে গণমাধ্যমকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে লাইভ সম্প্রচার করা যাবে না। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ রাখতে হবে। ভোট কেন্দ্রের ৫০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ বিতরণ করা যাবে না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আগামি ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ, প্রার্থী হলে করাতে হবে ডোপ টেস্ট
  • প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের বিধান রেখে রাকসুর আচরণবিধি প্রকাশ