আমার প্রথম প্রেম শাহরুখ: সাবিলা নূর
Published: 14th, February 2025 GMT
প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার নির্ধারিত দিনক্ষণ না থাকলেও বিশ্বব্যাপী ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে থাকে ‘ভালোবাসা দিবস’। দিনটিতে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। এ উপলক্ষে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।
রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবস কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন?
সাবিলা নূর: দিনটিকে ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কোনো শুটিং নেই। ইচ্ছা আছে বরের সঙ্গে সময় কাটানোর।
রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবস উদযাপনকে কীভাবে দেখেন?
সাবিলা নূর: ভালোবাসা উদযাপনের নির্ধারিত কোনো দিনক্ষণ নেই। এটি প্রতিদিনই উদযাপনের ব্যাপার। সুতরাং ১৪ ফেব্রুয়ারিকে যে বিশেষভাবে দেখি ঠিক তা না। তবে এদিন সাধারণত কাজ থাকে না। বলা যায়, বিরতির দিন। যার ফলে বর কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়।
রাইজিংবিডি: একটি সম্পর্কের ভিত্তি কী বলে মনে করেন?
সাবিলা নূর: সম্মান, বিশ্বাস এবং সেই সঙ্গে আস্থা ও বন্ধুত্বের জায়গা। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে মনে হয়, বিশ্বাস একটি বড় ব্যাপার। সেই সঙ্গে সম্মানের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে হওয়ার আগেও আমার বর আমার বন্ধু ছিল। বিয়ের পরও সেই বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং আস্থার জায়গাটা ঠিক রেখেছি।
রাইজিংবিডি: আপনারা সংসার জীবনের দায়িত্ব কীভাবে পালন করেন?
সাবিলা নূর: অন্য যারা সংসার করছেন, তারা যেভাবে করেন আমরাও একইভাবে করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কিছু কিছু কমতি থেকে যায়। মূলত, সময়ের অভাবে অনেক জায়গায় অনেক কিছু মেইনটেইন করার সুযোগ পাই না। বর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমার এক ধরনের বোঝাপড়া আছে। যার ফলে খুব সুন্দরভাবে মেইনটেইন করতে পারছি।
রাইজিংবিডি: আপনার প্রথম প্রেম নিয়ে জানতে চাই—
সাবিলা নূর: আমার প্রথম প্রেম শাহরুখ খান। ছোটবেলার ক্রাশ বলতে শাহরুখ খানকেই বুঝি।
রাইজিংবিডি: আপনার জীবনে একতরফা ভালোবাসার কোনো ঘটনা জানতে চাই।
সাবিলা নূর: নেই।
রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবসে কী বার্তা দিতে চান—
সাবিলা নূর: ভালোবাসা উদযাপনের জন্য একটি দিন আছে, এটা ভালো! ভালোবাসা বা মানুষের প্রতি মানুষের দয়ার অনুশীলন প্রতিদিনই হোক। আমরা একে অপরকে ভালোবাসব, সহযোগিতা করব, মানুষের খারাপ সময়ে পাশে থাকব— এরকম একটি সমাজ দেখতে চাই।
রাইজিংবিডি: আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সাবিলা নূর: সামনে ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে কাজের কিছু পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিতে পারব।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি