প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার নির্ধারিত দিনক্ষণ না থাকলেও বিশ্বব্যাপী ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে থাকে ‘ভালোবাসা দিবস’। দিনটিতে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। এ উপলক্ষে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।

রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবস কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন?
সাবিলা নূর: দিনটিকে ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কোনো শুটিং নেই। ইচ্ছা আছে বরের সঙ্গে সময় কাটানোর।

রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবস উদযাপনকে কীভাবে দেখেন?
সাবিলা নূর: ভালোবাসা উদযাপনের নির্ধারিত কোনো দিনক্ষণ নেই। এটি প্রতিদিনই উদযাপনের ব্যাপার। সুতরাং ১৪ ফেব্রুয়ারিকে যে বিশেষভাবে দেখি ঠিক তা না। তবে এদিন সাধারণত কাজ থাকে না। বলা যায়, বিরতির দিন। যার ফলে বর কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়।

রাইজিংবিডি: একটি সম্পর্কের ভিত্তি কী বলে মনে করেন?
সাবিলা নূর: সম্মান, বিশ্বাস এবং সেই সঙ্গে আস্থা ও বন্ধুত্বের জায়গা। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে মনে হয়, বিশ্বাস একটি বড় ব্যাপার। সেই সঙ্গে সম্মানের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে হওয়ার আগেও আমার বর আমার বন্ধু ছিল। বিয়ের পরও সেই বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং আস্থার জায়গাটা ঠিক রেখেছি।

রাইজিংবিডি: আপনারা সংসার জীবনের দায়িত্ব কীভাবে পালন করেন?
সাবিলা নূর: অন্য যারা সংসার করছেন, তারা যেভাবে করেন আমরাও একইভাবে করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কিছু কিছু কমতি থেকে যায়। মূলত, সময়ের অভাবে অনেক জায়গায় অনেক কিছু মেইনটেইন করার সুযোগ পাই না। বর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমার এক ধরনের বোঝাপড়া আছে। যার ফলে খুব সুন্দরভাবে মেইনটেইন করতে পারছি।

রাইজিংবিডি: আপনার প্রথম প্রেম নিয়ে জানতে চাই—  
সাবিলা নূর: আমার প্রথম প্রেম শাহরুখ খান। ছোটবেলার ক্রাশ বলতে শাহরুখ খানকেই বুঝি।   

রাইজিংবিডি: আপনার জীবনে একতরফা ভালোবাসার কোনো ঘটনা জানতে চাই।
সাবিলা নূর: নেই।

রাইজিংবিডি: ভালোবাসা দিবসে কী বার্তা দিতে চান—
সাবিলা নূর: ভালোবাসা উদযাপনের জন্য একটি দিন আছে, এটা ভালো! ভালোবাসা বা মানুষের প্রতি মানুষের দয়ার অনুশীলন প্রতিদিনই হোক। আমরা একে অপরকে ভালোবাসব, সহযোগিতা করব, মানুষের খারাপ সময়ে পাশে থাকব— এরকম একটি সমাজ দেখতে চাই।

রাইজিংবিডি: আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সাবিলা নূর: সামনে ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে কাজের কিছু পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিতে পারব।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। 

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম  কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ