‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’ শুরু
Published: 15th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আজ শুরু হয়েছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ২৩তম আসর। প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র [টিএসসি] মিলনায়তনে।
বিকেলে উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক আ.
এ সিনেমা ছাড়াও দুপুর ১টায় আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’, বিকেল সাড়ে ৩টায় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হয় নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাটি।
ঢাবি চলচ্চিত্র সংসদ জানিয়েছে, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই থেকে শুরু করে মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের অনুপ্রেরণা নিয়ে চলচ্চিত্র সংসদ গড়ে তুলেছে অনন্য আয়োজন। প্রতিবছরই উৎসবে বেশ সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, এবার উৎসবটি সফল ও সার্থক হবে। উৎসবে ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’, শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘রিকশা গার্ল’, আকরাম খানের ‘নকশিকাঁথার জমিন’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ ও রায়হান রাফীর ‘তুফান’, ঋত্বিক ঘটকের ‘সুবর্ণরেখা’, দেওয়ান নজরুলের ‘দোস্ত দুশমন’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘দেবদাস’, কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’, আবু সাইয়ীদের ‘কিত্তনখোলা’, সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘মোল্লাবাড়ির বউ’ ও আবদুল আহাদ তানভীরের ‘বাতাসের ফেনা’ দেখানো হবে।
উৎসবে নির্বাচিত ছবিগুলো নির্ধারিত মূল্যে টিকিট কেটে দেখা যাবে। টিকিট পাওয়া যাবে উৎসবের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) প্রবেশমুখে। প্রতিদিন প্রদর্শিত হবে চারটি সিনেমা। এগুলো দেখা যাবে সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। পাঁচ দিনের এ উৎসব চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।