বাউরেস সনদ ও সম্মাননা স্মারকে বড় ভুল
Published: 15th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) বার্ষিক কর্মশালায় এইচ-ইনডেক্স মানের ভিত্তিতে ১৭ জন গবেষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ প্রদান করা হয়।
এ বছরের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের সনদে অ্যাওয়ার্ডের নামেই বানান ভুল করে রেখেছে বাউরেস কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, সম্মাননা স্মারকেও ‘সায়েন্টিফিক’ শব্দের বানানে ভুল রয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সনদ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে দেখা যায়, সনদে ‘ইম্প্যাক্ট’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইম্পার্ট’ লেখা হয়েছে, যা অ্যাওয়ার্ডের অর্থকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে। এছাড়াও, গবেষকদের স্মারকে ‘সায়েন্টিফিক’ শব্দের বানান ভুল করে রাখা হয়েছে ‘সিন্টিফিক’। এমন গুরুতর ভুল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের একাংশ বলছেন, একটি সম্মানজনক পুরস্কারের ক্ষেত্রে এমন ভুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতি ও অপেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে। তারা মনে করেন, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তির বিষয়টি যেমন গবেষকদের জন্য আবেগের, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সঙ্গেও জড়িত। কর্তৃপক্ষের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড.
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা