সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমান তৃতীয় দফায় ১১২ অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে ভারতে পৌঁছেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩ মিনিটে পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এসব ভারতীয় অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। গত ১০ দিনের মধ্যে তৃতীয় দফার প্রত্যাবাসন এটি। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১১৯ জন এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র অনুযায়ী, মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত আসা ১১২ অভিবাসীর মধ্যে ৩১ জন পাঞ্জাবের, ৪৪ জন হরিয়ানার, ৩৩ জন গুজরাটের, ২ জন উত্তর প্রদেশের, একজন হিমাচল প্রদেশের এবং একজন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।

তাদের মধ্যে অনেকের পরিবার বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করতে এসেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর তাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। এই অভিবাসীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে, সূত্র জানায়।

প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রত্যাবাসনের সময় অভিবাসীদের  বিমান যাত্রার পুরো সময় শেকল ও হাতকড়া পড়িয়ে বন্দি রাখা হয়েছিল এবং ভারতে পৌঁছানোর পর তাদের মুক্ত করা হয়।

এ নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং সংসদের বাজেট অধিবেশনে তুমুল বিতর্ক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকো ও এল সালভাদরের পর ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অবৈধ অভিবাসী প্রেরণকারী দেশ।

পাঞ্জাবের বেশিরভাগ অভিবাসী জানিয়েছেন, তারা ভালো জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সীমান্তে ধরা পড়ার পর তাদের স্বপ্ন ভেঙে যায় এবং হাতকড়া পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
 
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।

সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
 
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’ 

সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীজির (সা.) অদ্ভুত দোয়া
  • অর্থ আত্মসাত: খুলনায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতা হাসপাতালে
  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে