নির্জনতার কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মবার্ষিকীতে জন্মশহর বরিশালে নানা আয়োজন
Published: 17th, February 2025 GMT
‘ঘুমে চোখ চায় না জড়াতে—/ বসন্তের রাতে /বিছানায় শুয়ে আছি;/ —এখন সে কত রাত! /ওই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের স্বর,/ স্কাইলাইট মাথার উপর,/ আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর।/ তারপর চ’লে যায় কোথায় আকাশে?/ তাদের ডানার ঘ্রাণ চারিদিকে ভাসে।’
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর পাখিরা কাব্যে বসন্তের রূপ-লাবণ্যকে এভাবে বর্ণনা করেছিলেন। এই ঋতুরাজ বসন্তের আজকের দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ। আজ কবির ১২৬তম জন্মদিন। শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কবিকে স্মরণ করছে তাঁর জন্মশহর বরিশালের বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তি ও সংগঠন। নানা আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা-আবৃত্তি, চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও তিন দিনের জীবনানন্দ মেলা।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কে কবির জন্মভিটায় স্থাপিত জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও পাঠাগারে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রগতি লেখক সংঘ ও বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। এ সময় আলোচনা সভা, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা কবিতায় জীবনানন্দই জুড়ে বসেছেন। নির্জনতার কবি হিসেবে খ্যাত হলেও জীবনানন্দ দাশ একজন কাল ও ইতিহাস-সচেতন কবি ছিলেন। আধুনিক কাব্যকলার বিচিত্র তত্ত্ব প্রয়োগ ও শব্দ নিরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অনন্যতা বিস্ময়কর। বিশেষত কবিতার উপমা প্রয়োগে জীবনানন্দের নৈপুণ্য তুলনাহীন। কবিতাকে তিনি মুক্ত আঙ্গিকে উত্তীর্ণ করে গদ্যের স্পন্দন যুক্ত করেছিলেন। এ ধারা পরবর্তী কবিদের প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁদের জীবনবোধকে নাড়া দিয়েছে।
কবির কর্মস্থল বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মেলার উদ্বোধন করে কলেজের অধ্যক্ষ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।”
উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা