Samakal:
2025-06-16@08:39:09 GMT

চোখের অ্যালার্জি কারণ জানুন

Published: 17th, February 2025 GMT

চোখের অ্যালার্জি কারণ জানুন

চোখের অ্যালার্জি– এই কথাটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। দেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তার অ্যালার্জি আছে। এটি একরকম জাতীয় রোগও বলা যেতে পারে। 
অ্যালার্জি কী?
অ্যালার্জি হলো শরীর অগ্রহণীয় বস্তুর সংস্পর্শে এলে আমাদের দেহে যে বিক্রিয়া হয়, তার নাম অ্যালার্জি। চোখ অগ্রহণীয় বস্তুর সংস্পর্শে এলে তখনই শুরু হয় চোখের অ্যালার্জি। যে বস্তু শরীরে অ্যালার্জি করে তাকে বলা হয় অ্যালারজেন। অ্যালারজেন শরীরে এসে পড়লে শরীরের মধ্যের মাস্ট কোর্স থেকে হিস্টামিন পদার্থ এলাকায় এসে যে সমস্যা সৃষ্টি করে। আর সেটাই অ্যালার্জি। চোখের অ্যালার্জি বারো মাসেই কমবেশি হতে পারে। তবে কিছু কিছু মাস, যেমন– শীতকাল, বসন্তকাল, গ্রীষ্ম, বর্ষা এ সময় চোখের অ্যালার্জি বেশি দেখা দেয়। শীতকালে ঠান্ডা নিবারণের জন্য আমরা অতিরিক্ত পোশাক কিংবা লেপ কম্বলের ব্যবহার করি। বসন্তকালে প্রচুর ফুল ফোটে, শীত ও বসন্তকালে মৌসুমি ফল গাছে ফুল আসে, পরাগায়ন হয়। গরমকালে, বর্ষাকালে বাতাস শুকনা বা আর্দ্র থাকে। বর্ষাকালের কাদাপানির কারণে চোখের অ্যালার্জি হতে পারে। হঠাৎ করে বা মাঝেমধ্যে বা অনেক দিন ধরে চোখ লাল হয়ে খুব চুলকায়, খচখচ করে, চোখ থেকে আঠা আঠা পানি বা সুতার মতন পিচুটি আসে। চোখ চুলকাতে শুরু করলে মনে হয় আমি আরও চুলকাই। চোখের পাপড়ির ঝিল্লি পর্দা (নেত্র পর্দা) ফুলে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে চোখে দৃষ্টিরও সমস্যা হয়। অনেক সময় নেত্র স্বচ্ছের পাশে মোটা মোটা দানা দেখা যায়। চোখের অ্যালার্জিকে আমরা ডাক্তারের ভাষায় অ্যালার্জিক কনজানটিভাইটিস বলি। প্রথমেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সমস্যার সমাধান হবে সাধারণত ধুলোবালি, ময়লা, পুকুর, নদী, বাঁওড়ের পানিতে গোসল থেকে বিরত থাকতে হবে। পোশাক পরিচ্ছদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে হবে। ব্যবহার্য কাপড়চোপড় রোদে দিলে কাপড়ের মধ্যে ‘মাইট’ জাতীয় পরজীবী বাস করে, সেগুলো মারা যায়। অনেকেই খাবারকে অ্যালার্জির প্রধান কারণ বলে মনে করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যের প্রতি অনীহা বা সমস্যা থাকলে সেটি বর্জন করা যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষায় অ্যালার্জি কোষ, আইজিই পরীক্ষা করলে রোগের কারণ খুঁজে যেতে পারে। পরিশেষে নিজের সাবধানতা অ্যালার্জি থেকে মুক্ত করতে পারে । v
[চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফেকো সার্জন, যশোর]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ