Samakal:
2025-08-01@18:26:19 GMT

চোখের অ্যালার্জি কারণ জানুন

Published: 17th, February 2025 GMT

চোখের অ্যালার্জি কারণ জানুন

চোখের অ্যালার্জি– এই কথাটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। দেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তার অ্যালার্জি আছে। এটি একরকম জাতীয় রোগও বলা যেতে পারে। 
অ্যালার্জি কী?
অ্যালার্জি হলো শরীর অগ্রহণীয় বস্তুর সংস্পর্শে এলে আমাদের দেহে যে বিক্রিয়া হয়, তার নাম অ্যালার্জি। চোখ অগ্রহণীয় বস্তুর সংস্পর্শে এলে তখনই শুরু হয় চোখের অ্যালার্জি। যে বস্তু শরীরে অ্যালার্জি করে তাকে বলা হয় অ্যালারজেন। অ্যালারজেন শরীরে এসে পড়লে শরীরের মধ্যের মাস্ট কোর্স থেকে হিস্টামিন পদার্থ এলাকায় এসে যে সমস্যা সৃষ্টি করে। আর সেটাই অ্যালার্জি। চোখের অ্যালার্জি বারো মাসেই কমবেশি হতে পারে। তবে কিছু কিছু মাস, যেমন– শীতকাল, বসন্তকাল, গ্রীষ্ম, বর্ষা এ সময় চোখের অ্যালার্জি বেশি দেখা দেয়। শীতকালে ঠান্ডা নিবারণের জন্য আমরা অতিরিক্ত পোশাক কিংবা লেপ কম্বলের ব্যবহার করি। বসন্তকালে প্রচুর ফুল ফোটে, শীত ও বসন্তকালে মৌসুমি ফল গাছে ফুল আসে, পরাগায়ন হয়। গরমকালে, বর্ষাকালে বাতাস শুকনা বা আর্দ্র থাকে। বর্ষাকালের কাদাপানির কারণে চোখের অ্যালার্জি হতে পারে। হঠাৎ করে বা মাঝেমধ্যে বা অনেক দিন ধরে চোখ লাল হয়ে খুব চুলকায়, খচখচ করে, চোখ থেকে আঠা আঠা পানি বা সুতার মতন পিচুটি আসে। চোখ চুলকাতে শুরু করলে মনে হয় আমি আরও চুলকাই। চোখের পাপড়ির ঝিল্লি পর্দা (নেত্র পর্দা) ফুলে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে চোখে দৃষ্টিরও সমস্যা হয়। অনেক সময় নেত্র স্বচ্ছের পাশে মোটা মোটা দানা দেখা যায়। চোখের অ্যালার্জিকে আমরা ডাক্তারের ভাষায় অ্যালার্জিক কনজানটিভাইটিস বলি। প্রথমেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সমস্যার সমাধান হবে সাধারণত ধুলোবালি, ময়লা, পুকুর, নদী, বাঁওড়ের পানিতে গোসল থেকে বিরত থাকতে হবে। পোশাক পরিচ্ছদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে হবে। ব্যবহার্য কাপড়চোপড় রোদে দিলে কাপড়ের মধ্যে ‘মাইট’ জাতীয় পরজীবী বাস করে, সেগুলো মারা যায়। অনেকেই খাবারকে অ্যালার্জির প্রধান কারণ বলে মনে করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যের প্রতি অনীহা বা সমস্যা থাকলে সেটি বর্জন করা যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষায় অ্যালার্জি কোষ, আইজিই পরীক্ষা করলে রোগের কারণ খুঁজে যেতে পারে। পরিশেষে নিজের সাবধানতা অ্যালার্জি থেকে মুক্ত করতে পারে । v
[চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফেকো সার্জন, যশোর]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ