৬ মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ
Published: 19th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে তালিকাভুক্ত ৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর২৪-ডিসেম্বর ২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ডগুলো হচ্ছে- ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বিডি ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড এবং এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন
শেয়ার কারসাজি: আমিনুল-হিরু চক্রকে ১০.
ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ০.১২ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই ২৪-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৩ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.১১ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৭.৮৫ টাকা।
আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ০.৫২ টাকা। গত বছর একই সময়ে ০.১৫ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই ২৪-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১১ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.১১ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৮.৩০ টাকা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ০.৫৯ টাকা। গত বছর একই সময়ে ০.০৮ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই ২৪-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.২২ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.০৮ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৭.৯৪ টাক।
এক্সিম ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ০.৪৬ টাকা। গত বছর একই সময়ে ০.০৬ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই ২৪-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.০৮ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৭.৯৭ টাকা।
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ০.৪৯ টাকা। গত বছর একই সময়ে ০.০৩ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই ২৪-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৬ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.০৫ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৭.৩৮ টাকা।
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে ০.৪২ টাকা। গত বছর একই সময়ে ০.১৪ টাকা লোকসান হয়েছিল। এদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২৪) প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.০৯ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্যে ইউনিট প্রতি (এনএভিপিইউ) ছিল ৮.১৪ টাকা।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ববছর র দ ব ত য় প র ন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ