দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের
Published: 19th, February 2025 GMT
২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের। এ সময় কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি লোকসান বেড়েছে; একই সঙ্গে ইউনিটপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা নগদ প্রবাহ কমেছে।
অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ইউনিটপ্রতি লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। একইভাবে বছরের প্রথম ছয় মাসেও কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৯ পয়সা। ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ৯ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের নগদ প্রবাহ পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যা একদম শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, কোম্পানিটির নগদ অর্থ আয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদমূল্যও কমেছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ১৪ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে যা ছিল ৮ টাকা ৩২ পয়সা। তবে কস্ট প্রাইসে ইউনিটপ্রতি নিট শেয়ারমূল্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৯ পয়সা; ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে যা ছিল ১১ টাকা ১৫ পয়সা।
গত এক বছরে এই ফান্ডের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল পাঁচ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল তিন টাকা। এ ছাড়া ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাঁচজন প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের একজন স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’–এর অভিযোগ ছিল। বিভাগীয় তদন্তে তাঁরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বুধবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত করা কর্মকর্তারা হলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মনিরুজ্জামান মনি, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) আবদুল্লা আল মামুন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) ফারহানা আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মফিজুল ইসলাম। এ পাঁচজন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। একই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলামকেও বরখাস্ত করা হয়।
কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনিরুজ্জামান মনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ডক্টরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি (মঞ্জুরীকৃত প্রেষণ) নেন। প্রেষণ শেষে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আলোকে তাঁকে গত ২১ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য ছুটিতে যান। কিন্তু ছুটি শেষে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৫ মে বরখাস্ত হন।
রাহানুমা তাজনীন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইওমিংয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাই চলতি মাসের ২ তারিখ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ কানাডার রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যান। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই তাঁকে চলতি মাসের ৮ তারিখ বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস পড়তে ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু এর পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে ২৭ জুলাই বরখাস্ত করা হয়।
অন্যদিকে শিরাজী তারিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ১২ মে থেকে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই তাঁকে চলতি বছরের ২১ মে বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত শেষে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।