জুতার নতুন ব্র্যান্ড রিফের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় ব্র্যান্ডটির বিক্রয়কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথমদিনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পেয়েছে ব্র্যান্ডটি।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী টি কে গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিফ ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস নামের নতুন কোম্পানির অধীনে রিফ ব্র্যান্ড পরিচালিত হবে। ফার্মেগেটের বিক্রয়কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন টি কে গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার।

উদ্বোধনের পর বিক্রয়কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, ৯৫০ বর্গফুট আয়তনের বিক্রয়কেন্দ্রটিতে চামড়া দিয়ে তৈরি বাচ্চাদের জুতা থেকে শুরু করে সব বয়সী ছেলে ও মেয়েদের জুতা ও স্যান্ডেলের পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের ব্যাগ, ওয়ালেট, বেল্ট রয়েছে।

রিফের বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার। আজ বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব ক রয়ক ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ