রিফে বাচ্চাদের জুতার সর্বনিম্ন দাম ১,২০০ আর নারীদের জুতা ১,৫০০ টাকা
Published: 19th, February 2025 GMT
জুতার নতুন ব্র্যান্ড রিফের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় ব্র্যান্ডটির বিক্রয়কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথমদিনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পেয়েছে ব্র্যান্ডটি।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী টি কে গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিফ ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস নামের নতুন কোম্পানির অধীনে রিফ ব্র্যান্ড পরিচালিত হবে। ফার্মেগেটের বিক্রয়কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন টি কে গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার।
উদ্বোধনের পর বিক্রয়কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, ৯৫০ বর্গফুট আয়তনের বিক্রয়কেন্দ্রটিতে চামড়া দিয়ে তৈরি বাচ্চাদের জুতা থেকে শুরু করে সব বয়সী ছেলে ও মেয়েদের জুতা ও স্যান্ডেলের পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের ব্যাগ, ওয়ালেট, বেল্ট রয়েছে।
রিফের বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার। আজ বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব ক রয়ক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা