উত্তরায় হামলায় আহতরা ‘স্বামী-স্ত্রী’ নন
Published: 19th, February 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় গত সোমবার রাতে এক যুবক ও নারীকে প্রকাশ্যে কোপান কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য। এ সময় পুরুষকে বাঁচাতে ধারালো অস্ত্রের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান ওই নারী। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা। একাধিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম করা হয়, ‘স্বামীকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান স্ত্রী, ভাসছেন প্রশংসায়।’
এদিকে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে শম্পা বেগম নামে এক নারী বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি স্বামী-স্ত্রী নন, তারা কেবল সহকর্মী। শম্পা নিজেকে হাসানের স্ত্রী বলে দাবি করেন।
শম্পা জানান, ২০১৬ সালে মেহবুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ৫ ও ৪ বছর।
তিনি অভিযোগ করেন, ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তবে তাদের বিয়ে হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। পরিচয় প্রকাশ করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শম্পা।
শম্পা জানান, স্বামী বাইরে থাকলে তিনি সাধারণত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। হামলার বিষয়টি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে পারেন। তবে, ওই রাতে মেহবুল কেন উত্তরায় গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
সাক্ষাৎকারের সময় মেহবুল হাসান শম্পাকে ফোন করেন এবং বলেন, ‘তুই মিডিয়াতে থাক। মিডিয়াতে তুই বউ হয়ে আয়।’ এ সময় তার শাশুড়িও ফোনে কথা বলেন।
সোমবার রাতে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে কয়েকজন তরুণ হামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক