চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস নিজেকে চেনা রূপে দেখালেন।
দুর্দান্ত ফিল্ডিং বরাবরই নজরে থাকেন ফিলিপস। একেবারেই সহজাত অ্যাথলেট। সবুজ ঘাসে তার লাফালাফি, উড়ন্ত দৃশ্যর ছবি বারবারই দেখেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। সীমানায় অস্বাভাবিক কিছু ক্যাচ নেওয়া, সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করা, রান বাঁচানো, রান আউটে দুর্দান্ত থ্রোতে ফিলিপস বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফিল্ডারদের এক জন।
বুধবার করাচিতেও এমন কিছুর সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরাতে ফিলিপস দারুণ এক ক্যাচ নিলেন। নিজের বিপরীত দিকে লাফিয়ে এক হাতে দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নেন। চোখের পলকেই বাজিমাত করলেন বাজপাখি ফিলিপস। তার এই ক্যাচ মনে করিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডসের কথা। তাইতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউড় হয়েছে, ফিলিপস ‘জন্টি’ রোডস।
আরো পড়ুন:
নারী ডিপিএল
মোহামেডানের হারের দিন আবাহনীর জয়, সান্দিহার ৬ উইকেট
ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে
পেসার উইল ও’রুর্কের অফস্টাম্পের বাইরের বল কাট করেছিলেন রিজওয়ান। বল তার ব্যাটে টাইমিং হয়েছিল ভালোভাবেই। পয়েন্ট দিয়ে বেরিয়ে যেত অতি সহজেই। কিন্তু ওখানে রান বাঁচানোর দায়িত্বে থাকা ফেলেপস তো ছিলেন। চোখের পলকে বল আটকে দেন বাঁহাতে। বাঁদিকে ঝাপিয়ে বল তালুবন্দি করেন সেকেন্ড ব্যবধানে। স্তব্ধ হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না রিজওয়ানের।
স্টেডিয়ামের সমর্থকরাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কি হয়েছিল? তবে করতালিতে ফিলিপসকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি। তার এই ক্যাচ সত্যিই মনে করিয়ে দেয় কিংবদন্তি জন্টি রোডসের ক্ষীপ্রতা, দক্ষতাকে। ফিলিপস যেন তার ছায়া হয়ে করাচি মাতিয়ে যাচ্ছেন।
ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আশিরের গবেষণাগারে বিএনপি নেতা রিজভী, বললেন, তারেক রহমান পাঠিয়েছেন
ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর তরুণ মো. আশির উদ্দীনের গবেষণাগার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে আশিরের গবেষণাগার পরিদর্শনে যান তিনি।
পরিদর্শনকালে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের মূল কারিগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি। তারেক রহমান লন্ডন থেকে আশির উদ্দীনের ড্রোন প্রযুক্তির ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন এই প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার জন্য।’
রিজভী আরও বলেন, ‘সারা দেশে কেউ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, কেউ সংগীতে, কেউ শিল্পী হিসেবে নানাভাবে প্রতিভার ছাপ রাখছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা যেন উন্নতি করতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা এসেছি। আশির উদ্দীনের মতো প্রতিভাবান তরুণেরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।’
পরিদর্শনকালে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিন; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিচ মিয়া, সদস্যসচিব হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
আশির উদ্দীন সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা পাস করেন। গ্রামে তাঁর ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’ নামের ১৫ বর্গফুট আয়তনের একটি ল্যাব আছে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘খুদে বিজ্ঞানী’ ও ‘বিমানবিজ্ঞানী’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে শুরু করে ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে সম্মানিত করেছে সামরিক বাহিনী।