কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪-৫ শ’ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আহত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসীদের লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ কর্মসূচি। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত কার্যকর এবং কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। 

লাল কার্ড প্রদর্শন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের ভেতরের সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।

এদিকে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম যা অব্যাহত থাকবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ক্যাম্পাসের গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে বুধবার রাতে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় চার থেকে ৫ পাঁচশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অর্ধ শতাধিক আহত হন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ