কুয়েটে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি দিয়ে প্রদর্শনী
Published: 21st, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ‘রক্তাক্ত কুয়েট ১৮.০২.২৫’ শিরোনামে ছবির প্রদর্শনী করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাসের ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্রে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি দিয়ে এ প্রদর্শনী করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের ছবির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচির ছবিও প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীতে শতাধিক ছবি স্থান পায়।
কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি যাতে কেউ ঢোকাতে না পারে, এটার বিরুদ্ধে আমাদের যে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলছে, সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা যে আহত হয়েছি, সেটার কিছু নমুনা আমরা আর্কাইভ হিসেবে সংরক্ষণ করেছি। মিথ্যা প্রোপাগান্ডার কারণে অনেক কিছু মুছে যেতে বসেছে। সত্য ইতিহাস যাতে আমরা প্রকাশ করতে পারি, এটা তার একটা নমুনা। আমরা আমাদের সত্য তুলে ধরব।’
আয়োজকেরা জানান, রক্তাক্ত কুয়েট ছবির প্রদর্শনীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া সন্ত্রাসী হামলা, হামলায় হতাহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং হামলা–পরবর্তী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির ছবি তুলে ধরা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রীসহ সব রাজনৈতিক সংগঠনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। এর আগে কুয়েটের উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। সংঘর্ষের ওই ঘটনার তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই ঘটনায় গত বুধবার রাতে খান জাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে কুয়েট প্রশাসন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত