সেনাবাহিনী বিশেষ পেশায় নেবে সৈনিক, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
Published: 22nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সৈনিক পদে ট্রেড-২ (বিশেষ পেশায়) শাখায় জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নারী-পুরুষ সবার জন্য রয়েছে আবেদনের সুযোগ। ট্রেড-২ (বিশেষ পেশা)-এর পেশাগুলো হলো কুক (মেস), কুক (ইউনিট), কুক (হাসপাতাল), ব্যান্ডসম্যান, পেইন্টার অ্যান্ড ডেকোরেটর, পেইন্টার, কার্পেন্টার এবং টিন স্মিথ।
যোগ্যতা
এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–২.
বয়স
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শুধু কুক পেশায় অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স এক বছর শিথিলযোগ্য।
শারীরিক যোগ্যতা
পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের জন্য ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন কমপক্ষে ৪৯.৯০ কেজি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, স্ফীত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের জন্য ৫ ফুট। ওজন কমপক্ষে ৪৭ কেজি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, স্ফীত ৩০ ইঞ্চি। নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীর অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে এবং অবিবাহিত হতে হবে।
আরও পড়ুনসেনাবাহিনীর ৯৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে যোগ দেওয়ার সুযোগ০৫ জানুয়ারি ২০২৫যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীরা মুঠোফোনের খুদে বার্তা ও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। মেসেজ অপশনে গিয়ে সৈনিক পদে আবেদনের জন্য ইংরেজিতে সৈনিক লিখে এসএসসি পাসের বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, রোল নম্বর, পাসের সাল, জেলা কোড ও ট্রেড কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রথম খুদে বার্তার পর প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে একটি পিন নম্বর পাঠানো হবে। পিন নম্বর পেলে আবার খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয় খুদে বার্তার পর প্রার্থীকে একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। সেটি দিয়ে অনলাইনে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণের সময় প্রার্থীর রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের পর প্রার্থীকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে হবে। আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ে প্রিন্ট করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো অপারেটর থেকে সরাসরি ০১৫০০১২১১২১ নম্বরে কল করা যাবে অথবা [email protected] ঠিকানায় ই–মেইল করা যাবে।
আরও পড়ুনসেনাবাহিনী নেবে নার্স, আবেদন শুরু০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নির্বাচন পদ্ধতি
কয়েক ধাপে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা) ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত।
আরও পড়ুনবিমানবাহিনী নেবে অফিসার ক্যাডেট, আবেদন শুরু ১ ফেব্রুয়ারি১৮ জানুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইন ট র প রদর শ কমপক ষ পর ক ষ পর প র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ নিতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া থাকতে হবে নিয়মিত আয়ের উৎস। আর বিনিয়োগের ৬ মাসের আগে ঋণ পাবে না কোনো বিনিয়োগকারী। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির হিসাবেও মার্জিন ঋণ দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালায় এসব সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ প্রসঙ্গে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা বলেন, পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে আলোচনা করেই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ৩ মাসের আগে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, মার্জিন নিয়ে শেয়ারবাজারে কারসাজি বন্ধ হবে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সুশাসন না থাকায় বিপুল অংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীর পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুঁজিবাজার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং মার্জিন খারাপ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। যে কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা টাস্কফোর্সের মূল্য উদ্দেশ্য।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, অনেক স্টেকহোল্ডার দাবি করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা ৩ বারও বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। আমরা অংশীজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি। এরপরেও যদি মনে হয় আমরা কিছু বাদ দিয়েছি বা গ্যাপ ছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে জানালে তা আমরা যুক্ত করে দিব। তবে অংশীজনদের থেকে বেশি আমরা সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে। যার কারণ বাজার অচল অবস্থায় চলে গেছে। সে অবস্থাটাকে মাথায় রেখে আমরা চিন্তা করেছি, এর অন্যতম কারণ হলো মার্জিন রুলস। কারণ মার্জিন রুলসটা যদি প্ল্যান করে দেওয়া হতো, গভর্নেন্সটা যদি সঠিক থাকতো, তাহলে এ ধরনের অবস্থা তৈরি নাও হতে পারতো। তাই মার্জিন রুলসকে আমরা টপ প্রায়োরিটি আইটেম ধরেছি। পৃথিবীতে মার্জিন রুলসকে শর্টটার্ম ওয়ে হিসেবে নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও ১:৩/৪ রেশিওতে মার্জিন ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ এগুলা কিভাবে হয়েছে? এরপর বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি ক্রিয়েট হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই জিনিসগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি বাজারে না হয়। মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা যাবেনা। মার্জিন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। এতো পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।
হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন বলেন, আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছে ফোকাস গ্রুপ। মূল কাজ করেছে টাস্কফোর্স। আমরা কাজ করতে যেয়ে পাবলিকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকেও পেয়েছি, তবে পাবলিক থেকে পরামর্শ বেশি এসেছে। এটা খুব ভালো বিষয়। কারণ যত বেশি পরামর্শ আসবে, আমরা তত বেশি রিফাইন করার সুযোগ পাব।
সংবাদ সম্মেলনে একটি উপস্থাপনায় পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে যে, এই প্রথম বাংলাদেশে আইনি ফরমেশন করতে যাচ্ছি, যেখানে ব্রেইন স্টর্মিং ড্রাফটিং হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে। এ মার্কেটে যারা কাজ করেন, তাদের আইডিয়াগুলো নিয়েই ড্রাফট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিএসইসির ওয়ার্কিং টিমের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এছাড়া মার্কেটের বড় বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়ে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করেছি।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ