‘বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাস দিয়েছেন খালেদা জিয়া’
Published: 22nd, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শিক্ষা কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেছেন, “বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দেশের বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করার আশ্বাস দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”
তিনি বলেন, “বিএনপি যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই শিক্ষার মান উন্নত হওয়াসহ দেশের শিক্ষকরা ভালো থাকেন।”
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের (কালব) সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জয়নুল আবেদীন
সরকার বিভিন্ন কৌশলে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে
ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।”
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগের সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলছে। শিক্ষকদের ভাগ্য উন্নয়ন না করে শেখ হাসিনা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।” এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
উপজেলা ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাস্টার নিহার রঞ্জন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সুভ্রত সমদ্দারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব আবু হাসান খান, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দিলীপ মাঝি ও মৃনাল কান্তি শিকদার।
ঢাকা/তাওহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।