Prothomalo:
2025-11-03@04:06:01 GMT

ট্রাম্প আর ট্রুডোর কী কথা হলো

Published: 23rd, February 2025 GMT

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল শনিবার কথা বলেছেন।

ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং অবৈধ ফেন্টানাইল (মাদক) বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ট্রুডোর দপ্তর।

শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি–৭-এর নেতাদের আগামীকাল সোমবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান এবং রোমানিয়া ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার কথা রয়েছে। এর আগে নিজেদের মধ্যে আলাপ করলেন ট্রাম্প ও ট্রুডো।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ও ট্রুডো উভয়েই তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান দেখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, দুই নেতা আগামীকালের (সোমবার) ফোনালাপের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

আরও পড়ুনমেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেন ট্রাম্প, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হবে০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্প শুল্ক আরোপ করলে আমরাও ব্যবস্থা নেব: ট্রুডো০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ট্রুডোর সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধে জড়িয়েছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুনট্রাম্পের মার–এ–লাগোয় হঠাৎ কেন জাস্টিন ট্রুডো৩০ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে

খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।

হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় না

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।

কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’

পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ