ট্রাম্প আর ট্রুডোর কী কথা হলো
Published: 23rd, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল শনিবার কথা বলেছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং অবৈধ ফেন্টানাইল (মাদক) বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ট্রুডোর দপ্তর।
শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি–৭-এর নেতাদের আগামীকাল সোমবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান এবং রোমানিয়া ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার কথা রয়েছে। এর আগে নিজেদের মধ্যে আলাপ করলেন ট্রাম্প ও ট্রুডো।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ও ট্রুডো উভয়েই তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান দেখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, দুই নেতা আগামীকালের (সোমবার) ফোনালাপের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুনমেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেন ট্রাম্প, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হবে০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্প শুল্ক আরোপ করলে আমরাও ব্যবস্থা নেব: ট্রুডো০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ট্রুডোর সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধে জড়িয়েছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনট্রাম্পের মার–এ–লাগোয় হঠাৎ কেন জাস্টিন ট্রুডো৩০ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’