ঢাকায় তিন দিনব্যাপী প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আগামী মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। ‘১০ম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ২২টি দেশের ২০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি ‘১২তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫’ এবং ‘ফুড ইনগ্রেডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৫’ নামে আরও দুটি প্রদর্শনী চলবে। তিনটি প্রদর্শনী ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (রিমস) যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।

প্রদর্শনী উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাপা। এতে সংগঠনটির নেতারা প্রদর্শনী ও দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য শিল্প নিয়ে বিশদ তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি মো.

আবুল হাশেম, মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ মিনহাজ আহমেদ, রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চানমোহন সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত অত্যন্ত ভালো করছে। খাতটি দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখছে।’

বাপার সভাপতি মো. আবুল হাশেম বলেন, বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪৫টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষি খাতের অবদান ২২ শতাংশ। জিডিপিতে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে এই খাতের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাপার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এ খাতে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সহস্রাধিক। তবে বাপার সদস্য প্রায় ৪০০। এসব প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়

দেশে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর বাংলাদেশের ১ নম্বর ডার্মা কসমেটিকস ডক্টর রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ড সিওডিল। প্রায় ৩ শতাধিক দেশী ও বিদেশী ডার্মাটোলজিস্ট সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এডিএসবি) উদ্যোগে সম্মেলনের প্রথম দিনে ছিলো সায়েন্টিফিক সেশনের পাশাপাশি সেমিনার। আয়োজনের মূল স্পন্সর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে সিওডিলের প্রচলিত পণ্য এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে সিওডিলের।

ত্বকের যত্নে সিওডিলের নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও কার্যক্রম নিয়ে ডাক্তারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সিওডিলের স্টল। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভারতের ডার্মাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ভিজিট করে সিওডিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারমিনা হক বলেন, অ্যাকনি, এজিং, ড্রাইনেস, স্ক্যাল্পের সমস্যাসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলপ্রসূ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের ত্বক সম্পর্কে সচেতন হতে সিওডিল তার ভোক্তাদের উৎসাহিত করছে। আশা করছি সিওডিল বাংরাদেশের অন্যতম একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

সিওডিলের হেড অব বিজনেস সুকান্ত দাস জানান, এবারের অ্যাস্থেটিক ২০২৫-এ উদ্ভাবনী পণ্যের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ সিওডিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা রেকমেন্ডেড এই ব্র্যান্ডটি সর্বস্তরের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সিওডিলের এই সুদৃঢ় অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দিতেই সিওডিল চলতি বছরেই দুবাই ডার্মা ও কসমো প্রফ ২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকেও বাংলাদেশের এই আয়োজনে যেসব ডাক্তাররা আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তারা সিওডিলের পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে আমেরিকাসহ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই ও ভারতে সিওডিলের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আশা করছি খুব শিগগিরেই আমরা মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানে আমাদের পণ্যের নতুন বাজার তৈরী করতে পারবো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকসের অথেন্টিক রিটেল শপ হারল্যান স্টোরসহ সব সেলস চ্যানেলে সিওডিল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিওডিল এখন স্কিন কেয়ার খাতে শীর্ষ বিক্রীত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অন্য দেশে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পণ্য শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে। দামেও সাশ্রয়ী। অন্য দেশের পণ্য আমদানি হয়ে আসতে আসতে মেয়াদ চলে যায়। তাই গুণগতমান নিশ্চিত এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে সিডিলের কদর বাড়ছে।
 

রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্দেশনা মাউশির, কে কত টাকা পাবেন
  • বাটা সু’র মুনাফা কমেছে ২৬.৮৪ শতাংশ
  • বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
  • ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল করতে চান উমামা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩১ জুলাই ২০২৫)
  • ঢাকা সিটি কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুলাই ২০২৫)
  • আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫৫০ শিক্ষার্থী পেলেন বিদায় সংবর্ধনা
  • রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি
  • সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়