মূল্যবান লালচন্দন গাছের চোরাচালানের গল্প আল্লু অর্জুনের ভক্তদের মনে দাগ কেটেছে। গত বছর মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। সুকুমার পরিচালিত সিনেমাটি চলতি বছরেও বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়ায়।

মুক্তির আগে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার একাধিক পোস্টার প্রকাশ করেন নির্মাতারা। একটি পোস্টারে আল্লু অর্জুনকে শাড়ি পরিহিত অবস্থায় ত্রিশূল হাতে দেখা যায়। সিনেমাটির জাতেরা সিক্যুয়েন্সে দৃশ্যটি রয়েছে। আল্লু অর্জুনকে শাড়িতে দেখে তার ভক্তদের উচ্ছ্বাসের শেষ ছিল না। কিন্তু কেন শাড়ি পরেছিলেন আল্লু? এতদিন পর সেই গল্প শুনিয়েছেন ‘পুষ্পা’ তারকা।   

হলিউড রিপোটার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল্লু আর্জুন বলেন, “জাতেরা দৃশ্য’ (মেলার দৃশ্য) নিয়ে একটি বিষয় আছে। পরিচালক (সুকুমার) প্রথমে আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি ভয় পেয়েছিলাম।’ হ্যাঁ, এটাই ছিল প্রথম প্রতিক্রিয়া। আমরা একটি মাচো ফটোশুট শেষ করেছিলাম। এটি দেখে পরিচালক বলেছিলেন, ‘এটি ঠিক লাগছে না।’ তারপর তিনি বললেন, ‘আমি চাই তুমি শাড়ি পরো, একজন নারীর মতো পোশাক পরো।’ এরপর আমরা স্কেচ তৈরির কাজ শুরু করলাম। তারপর আমরা এটি দেখি। তবে শুরুতে এটি নিয়ে ভয় ছিল।”

শাড়ি পরলেও পুরুষালি ভাব যেন না হারায় সে পরামর্শ দিয়েছিলেন পরিচালক। এ তথ্য উল্লেখ করে আল্লু অর্জুন বলেন, “প্রথমত, ভয় ছিল। তারপর আবিষ্কার করতে থাকি। আমরা জানতাম, একজন অভিনেতা হিসেবে এটি সিনেমার ইউএসপি হতে যাচ্ছে। এ-ও জানতাম, একজন অভিনেতা হিসেবে আমার জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং। আমি যদি এটি করি, তাহলে এটি বড় একটি ব্যাপার হবে। সুকুমার স্যার এবং আমি কেবল একটি জিনিস ভেবেছিলাম যে, যদি সে শাড়ি পরেও, তবু তাকে খুব খুব পুরুষালি দেখাতে হবে, আলফা-নেস হারিয়ে যাওয়া উচিত নয়।”

দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা টু’। প্যান-ইন্ডিয়ার সিনেমার মধ্যে মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয়ের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নেয় এটি।

ভারতে এ পর্যন্ত অসংখ্য সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তকমাও ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার দখলে। এটি আয় করেছে ২৬০ কোটি রুপি। এ তকমা ‘ট্রিপল আর’ (২২২ কোটি রুপি) সিনেমার কব্জায় ছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘বাহুবলি টু’ (২১৪ কোটি রুপি), ‘কল্কি’ (১৭০ কোটি রুপি)। এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা আয় করেছে ১৭৩৮ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৪৩৮ কোটি ৭০ লাখের বেশি)।

‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় আল্লু অর্জুনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় এসপি ভানুয়ার সিং শেখওয়াত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল। ন্যাড়া মাথার এই আইপিএস অফিসারের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে দর্শকদের। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায়ও একই চরিত্রে দেখা যায় ফাহাদ ফাসিলকে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন