বইমেলায় ঝুমকি বসুর তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ছাতিম ফুলের গন্ধ’
Published: 24th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক ঝুমকি বসুর তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ছাতিম ফুলের গন্ধ’। বইটি প্রকাশ করেছে বিদ্যাপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটির মূল্য ২২০ টাকা।
এক জীবনে অনেক জীবন, হরেক রকম। নানান রকম গল্প দিয়ে জীবন ভরা। চতুর্পাশে মানুষগুলো যেমন চলে, যেমন করে গাড়ির চাকায় পিচ ঢালা পথ, মেঠো রঙিন, ধুলোয় মলিন। সেই জীবনের গল্প নিয়ে এমন লেখা। এমন কিছু মানুষ আছে, অপাঙ্ক্তেয়। গভীর জলে গাঢ় তলে শেওলা জমে। এমন কিছু শেওলাজমা গল্প বলি। নিছক কিছু তুচ্ছ কণা হাতেই ধরি। একটু করে নাটাই থেকে সুতো ছেড়ে; দিলাম লিখে ঘুড়ির পিঠে সেই ঠিকানা। পৌঁছে গেলে বলবে তারে, এটাই জীবন।
ঝুমকি বসুর জন্ম বাগেরহাটের কার্তিকদিয়া গ্রামে। উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনার জন্য চলে যান পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাঠ শেষে আবার ভর্তি হন ঢাকার ইডেন কলেজে। উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর; আইনেও নিয়েছেন স্নাতক ডিগ্রি। ঢাকা আইনজীবী সমিতির তিনি একজন তালিকাভুক্ত আইনজীবী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি উদ্যোক্তা।
আরো পড়ুন:
আমাদের একজন ডা.
গল্প হতে হলে তাতে প্রাণ থাকতে হবে: হামিম কামাল
তারা//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল