Risingbd:
2025-06-16@05:42:02 GMT

ফারজানার ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি

Published: 24th, February 2025 GMT

ফারজানার ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি

নারীদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি এলো ফারজানা হক পিংকির ব্যাট থেকে। আবাহনীর এই ওপেনার সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আনসার এবং ভিডিপি ওমেন্স ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ১০১ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন।

এছাড়া সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ফাতিমা তুজ জোহরা। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ওমেন্স ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এদিন ব্যাটসম্যানরা রানের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। দুজন বাদে আরো সাত ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন। দিনের সবচেয়ে বড় জয়টা পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব ওমেন ক্রিকেট টিমকে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। এরপর ৯ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

মোহামেডানের বিদেশি ক্রিকেটার জেসিয়া আক্তার ৩১ বলে ৫০ রান করেন ১০ চার ও ১ ছক্কায়। ফারজানা হক পিংকির সেঞ্চুরির সঙ্গে আবাহনীর হয়ে রান করেছেন দিলারা দোলা ও স্বর্ণা আক্তার। দিলারা ৩৫ বলে ৫৯ রান করেন ১১ চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া স্বর্ণা ৪৮ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৮১ রান। তাতে আবাহনী ৩ উইকেটে ৩১১ রান পায়। লক্ষ্য তাড়ায় আনসার ও ভিডিপির দলটি ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন তিথি রানী সরকার। আবাহনীর হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন লাবোনি।

আরো পড়ুন:

সেরা বোলিং ফিগারে ২৭ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ব্রেসওয়েল

শেয়ারবাজার করপোরেট ক্রিকেটে জয়ে শুরু ওয়ালটনের

গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ২ উইকেটে হারিয়েছে বিকেএসপিকে। সুমাইয়া আক্তার সূবর্ণার ৬৬ রানে ভর করে বিকেএসপি ১৭৭ রানের পুঁজি পায়। জবাবে জুরাইয়া ফেরদৌসের ৫৩, আফিয়া আসিমার ৩০ ও রিতু মনির ২৫ রানের ইনিংসে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ২ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।

খেলাঘর ৬ উইকেটে হারিয়েছে কলাবাগানকে। ফারজানা আক্তার লিসার ৭২ ও ফাতিমা তুজ জোহরার অপরাজিত ৯৪ রানে ৩ উইকেট ২১৮ রান করে কলাবাগান। জবাবে সুলতানা খাতুনের ৮০ রানের ইনিংসে খেলাঘর ৪৪.

১ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ৩ ম্যাচে ৩টি জয় নিয়ে আছে শীর্ষে। আবাহনী লিমিটেড ৩ ম্যাচে ২টি জয় পেয়ে তাদের পরেই অবস্থান করছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

চামড়া সংরক্ষণে কাজে আসেনি ২০ কোটি টাকার ‘গছানো’ লবণ

পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া পায় মূলত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলো। কিন্তু প্রতিবছর চামড়ার দর কমছে। প্রাথমিক সংগ্রহকারীরাও চামড়া সংরক্ষণে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই এবার সরকার চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠানকে লবণ দিয়েছিল; কিন্তু এসব লবণ তেমন কাজে আসেনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০ কোটি ব্যয়ে ১১ হাজার ৫৭১ টন লবণ কিনে ৬৪ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রতিষ্ঠানকে লবণ বরাদ্দ দেওয়া হয়। লবণ নিয়ে বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। আবার তালিকায় নাম থাকলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের লবণ না পাওয়ার অভিযোগও আছে।

আমরা আড়াই মণ লবণ পেয়েছি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে চামড়া সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। যারা চামড়া নিয়েছে, তাদের চামড়ার সঙ্গে লবণও দিয়ে দিয়েছিচট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আবু বকর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইউছুপ

গত ২৭ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে লবণ কেনার জন্য বরাদ্দের নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষককে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তালিকা অনুযায়ী লবণ মিলমালিকদের কাছ থেকে জেলা প্রশাসকেরা লবণ সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আবু বকর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইউছুপ বলেন, তাঁরা এবার চামড়া সংগ্রহ করেছেন ৪৭৯টি। ঈদের দিন বিকেলে সংগ্রহ শেষে রাতেই আড়তদারদের কাছে চামড়া বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আড়াই মণ লবণ পেয়েছি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে চামড়া সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। যারা চামড়া নিয়েছে, তাদের চামড়ার সঙ্গে লবণও দিয়ে দিয়েছি।’

যাদের লবণ দিয়েছি, তার মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ করেনি বলে জানিয়েছে। তারা সেসব লবণ পাশের মাদ্রাসায় যেখানে বেশি চামড়া সংগ্রহ হয়েছে, সেখানে হস্তান্তর করে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম

সংরক্ষণ না করলেও অনেক প্রতিষ্ঠানে লবণ দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় এতিমখানা কমদমোবারকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজন না থাকলেও লবণ নিতে বলা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু দরকার হবে না, তাই আমরা নিইনি।’

চট্টগ্রামে ৯৮ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৬৪০ টন লবণ দেওয়া হয়। জোর করে লবণ বরাদ্দের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের লবণ দিয়েছি, তার মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ করেনি বলে জানিয়েছে। তারা সেসব লবণ পাশের মাদ্রাসায় যেখানে বেশি চামড়া সংগ্রহ হয়েছে, সেখানে হস্তান্তর করে।’

খাগড়াছড়িতে বরাদ্দ লবণ দেওয়া হয়েছে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে। জেলার জব্বারিয়া আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমাদের মাদ্রাসায় চার টন লবণ দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু আমরা চামড়া সংরক্ষণ করিনি।’

এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার ভিত্তিতে লবণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ যেহেতু আসছে তাহলে বিষয়টি রিভিউ (পর্যালোচনা) করতে হবে।’

ফেনীতে লবণ পেয়েও অনেক প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ করেনি। অনেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় লবণ নেয়নি। লবণ নিয়েছে এমন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ না করেই বিক্রি করেছে। চামড়া সংরক্ষণ করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম।চামড়া সংরক্ষণ খুবই কম

ফেনীতে লবণ পেয়েও অনেক প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ করেনি। অনেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় লবণ নেয়নি। লবণ নিয়েছে এমন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান চামড়া সংরক্ষণ না করেই বিক্রি করেছে। চামড়া সংরক্ষণ করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম।

ফেনীর দাগনভূঞার তালতলী কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম কামরুল আহসান বলেন, চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৬২ বস্তা লবণ তাঁদের জোর করে দেওয়া হয়। কিন্তু চামড়া সংরক্ষণ না করেই তাঁরা বিক্রি করেন। প্রতিটি লবণের বস্তা বিক্রি করেন ৩০০ টাকা দরে।

ফুলগাজীর নুরপুর দারুল উলুম মহিউসুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষা পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তাঁদের লবণ নিতে বলা হলেও চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা নেননি।

তবে প্রয়োজন থাকলেও লবণ পায়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ফেনী সদরের শর্শদি দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল করিম বলেন, তাঁরা এবার এক হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাঁদের লবণ দেওয়া হয়নি। কেউ এ বিষয়ে যোগাযোগও করেনি।

ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, চামড়া সংরক্ষণ করার উদ্দেশেই লবণ দিয়েছে সরকার। তবে লবণ নিয়েও কারও কারও চামড়া সংরক্ষণ না করার বিষয়ে শুনেছেন। লবণ না পেলেও তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।


[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ও সংবাদদাতা, ফেনী]

সম্পর্কিত নিবন্ধ