অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শব্দনীলের কাব্যগ্রন্থ ‘চালাকচরের ফুলপরী’। চালাকচরের ফুলপরী কাব্যগ্রন্থটি নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা হয়েছে। একটি অখণ্ড প্রেম কাহিনী একাধিক কবিতায় ঘটনার পরম্পরা ঠিক রেখে বর্ণিত হয়েছে। এটির প্রচ্ছদ করেছেন, সুপ্রসন্ন কুণ্ডু। অলংকরণ করেছেন কাজী সুমাইয়া হোসাইন লিমু। মুদ্রিত মূল্য- ২০০। কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে ঘাসফুলের ১৮০-১৮১ নং স্টলে। প্রকাশ করেছে ঘাসফুল। 

আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখর কারণ জানালেন শব্দনীল। তিনি বলেন,  ‘‘দেশের বিভিন্ন জেলায় আমার শৈশব, কৈশোর এবং তারুণ্যের প্রথম প্রহর কেটেছে। যার ফলশ্রুতিতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। একটা সময় আমি রংপুরের আঞ্চলিক ভাষা, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা এবং শুদ্ধ ভাষার মিশ্রনে একটি অপরিচিত ভাষায় অনেকদিন কথাও বলেছি। এটাকে বলা যায়, আঞ্চলিক ভাষার গুরুচণ্ডালী দোষ। এখন অনেকটা দোষ কেটে গেলেও আমি মাটির খুব কাছাকাছি যাওয়ার ফলে জারি, সারি, ভাওয়াইয়া গানের ভাষার সুর-তাল-লয়ের প্রেমে পড়ে যাই। অন্যদিকে একটি প্রবাদ আছে, ‘পাগলা সাঁকো নাড়িস নে’। মূলত আমাদের শহুরে সভ্যতার আড়ালে বিস্ময়কর একটি বিশাল শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির ভাণ্ডার আছে। তা খোঁজার একটি নেশা ছিলো, সেই নেশায় ‘সাঁকো’ নড়িয়েছে দেবব্রত সিংহের বাঁকুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় রচিত ‘তেজ’ কবিতা। একই সঙ্গে কবি জসীমউদ্দীনের সোজন বাদিয়ার ঘাট এবং সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘নূরলদীনের সারা জীবন’। ফলে আমার মনের ভেতর ঢং করে বেজে উঠলো, ‘ভাল মনে করিয়ে দিয়েছিস’। এখান থেকে আঞ্চলিক কবিতার চর্চা শুরু করি। লিখছি কারণ, আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিকড়ের সংস্কৃতি হারানোর ভয় মাঝে মাঝে পেয়ে বসে। এই ভয় থেকে আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লিখছি।’’

শব্দনীল আরও বলেন, ‘‘চালাকচরের ফুলপরী কাব্যগ্রন্থ বিভিন্ন ধরণের কবিতার মিশ্রিত কোনো গ্রন্থ নয়। এই গ্রন্থটি পড়লে একটি সুন্দর গল্প পাবেন। যে গল্পটি তৈরি হয়েছে নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায়। শুধু তাই নয়, আপনি যদি একটি গ্রামীণ জীবনের প্রেম কাহিনীর সঙ্গে নরসিংদীকে জানতে চান তবে আপনি অনেকটাই জানতে পারবেন চালাকচরের ফুলপরীর মাধ্যমে। গ্রন্থটি আঞ্চলিকাতার সঙ্গে আধুনিকতার পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করেছি পরাবাস্তববাদ বা সুরিয়ালিজমের হাত ধরে। এইটাকে কাব্যনাট্য বা কাব্যগল্প গ্রন্থ বলা যায়।’’

আরো পড়ুন:

মেলায় শাহ মতিন টিপুর ‘রোদ্দুর ভুলে গেছে বৃষ্টির গান’

স্বীকৃতিহীনতা এক অর্থে লাভজনক: রাসেল রায়হান

বইটির ফ্ল্যাপে লেখা—‘‘উদয় মাগো সোনার বাংলা তরে হাজার সেলাম পুবেতে বন্দনা করলাম’অ পুবের বানু সারো একদিকদা উদয় বানু চৌদিকে ফসর উত্তরে বন্দনা করলাম’অ হিমালয় পর্বত তার অ ইয়ালে কাঁপে সয়ালও সংসার পশ্চিমে বন্দনা করলাম’অ মৌক্কা বানু সারো মুসলমান’অ পড়ে নুমাজ আল্লাহু আকবার দক্ষিণে বন্দনা করলাম’অ কালী দশায় সে সায়রে বাণিজ্য করে চান সওদাগর চারকোনা বন্দনা করলাম’অ আসর হইলো স্থির নরসিংহদীর বন্দনা করালাম’অ জেলা হয় নসন্দী নরসিংদীর বন্দনা করলাম’অ থানা হয় শিপপুর পোস্টঅফিস নৌকাঘাটা ছুটাবন্দর ঠিকানা বন্দনা ছাড়িয়া এবার কিসসায় দিলাম মন চালাকচরের ফুলপরী তুই বুইত্যাই আপন’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করল ম অ

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ