টেন্ডুলকারের চোখে আফগানিস্তানের জয় আর অঘটন নয়
Published: 27th, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করছে আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের দাপুটে জয় সেটাই প্রমাণ করে। এই জয়ে মুগ্ধ হয়ে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার আফগানদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৩২৫/৭ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে ইব্রাহিম জাদরান ১৭৭ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেন, যা আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। ইংল্যান্ডের জয়ের আশা জো রুটের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও ফিকে হয়ে যায় আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ে। ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই পেসার। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
আফগানদের এই উত্থানে মুগ্ধ হয়ে টেন্ডুলকার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, ‘আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক উন্নতি অনুপ্রেরণাদায়ক! এখন আর তাদের জয়কে অঘটন বলা যায় না, তারা এটি অভ্যাসে পরিণত করেছে।’
শুধু দল নয়, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের জন্য ইব্রাহিম জাদরান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকেও প্রশংসা করেছেন টেন্ডুলকার। তার প্রশংসার জবাবে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ইব্রাহিম জাদরান লেখেন, ‘যিনি গোটা বিশ্বের প্রজন্মকে ব্যাট হাতে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, তার কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া সত্যিই গর্বের!’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে
খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।
হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় নাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।
কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’
পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা