ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ননস্টপ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা সোয়া ১১টার দিকে অবরোধ তুলেন নেন আন্দোলনকারীরা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোবারক হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.

বি. এম. মোমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত এবং তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ।

আরো পড়ুন:

জামালপুরে ট্রেন থেকে মরদেহ উদ্ধার

২টি বগি রেখে চলে গেল সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস

বক্তারা বলেন, রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখান থেকে ৬-৭ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। এত পরিমাণ যাত্রীর তুলনায় এখানে টিকিট সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। যার কারনে এখানকার ট্রেন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই দ্রুত ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু, আন্তঃনগর উপবন, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানান তারা। এছাড়া ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের বিদ্যমান পুরাতন বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি সংযোজনেরও দাবি জানান তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার জসিম উদ্দিন বলেন, “অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ননস্টপ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, “তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ব র হ মণব ড় য় অবর ধ র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ