প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশেও পুরস্কার জিততে চায় ক্ষুদে অ্যাক্রোব্যাট আলিফ
Published: 28th, February 2025 GMT
অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর মঞ্চ। এক তরুণ দুই পা ওপরে তুলে পায়ের পাতার ওপর তুলে নিয়েছেন একটি ড্রাম (ব্যারেল)। ওই ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে কসরত দেখাচ্ছে ৯ বছরের আলিফ। দর্শকদের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা; কখন যেন আলিফ পড়ে যায়। ড্রামে দাঁড়িয়েই দর্শকদের প্রতি উড়ন্ত চুমু দিয়ে আলিফ শেষ করে প্রদর্শনী। দর্শকেরাও হাততালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান।
নওগাঁ শহরের এ-টিম মাঠে বুধবার সন্ধ্যায় এই অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়ে এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী চলে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। ভাষার মাসজুড়ে বহুভাষিক উৎসবের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে ও নওগাঁ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পকলা একাডেমির ২৬ সদস্যের একটি দল প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। শিল্পীরা একে একে প্রদর্শন করেন গ্রুপ সাইকেল, রিং ড্যান্স, রোলার ব্যালান্স, ল্যাডার ব্যালান্স, দিয়াবো, ব্যারেল ব্যালান্স, পাইপ ব্যালান্স, হাই সাইকেল, ফায়ার অ্যান্ড র্যাম্পসহ ১৪ ধরনের অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা।
আলিফের বাড়ি লালমনিরহাট জেলা শহরে। সে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত অ্যাক্রোব্যাট শিশুশিল্পী। তাঁর মা শিউলী বেগম সার্কাস দলের শিল্পী; বাবা শফিকুল ইসলাম নির্মাণশ্রমিক। আলিফ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছ থেকেই সে ও তার বড় দুই বোন বিভিন্ন শারীরিক কসরত শিখেছে। আলিফ তিন বছর আগে নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে অ্যাক্রোবেটিক শিল্পের ওপর একটি কর্মশালায় অংশ নেয়। পরে সেখান থেকে বাছাই করে তাকে শিল্পকলা একাডেমির অধীন রাজবাড়ী অ্যাক্রোব্যাট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
নওগাঁয় আসা অ্যাক্রোব্যাট দলের সমন্বয়কারী ও রাজবাড়ী অ্যাক্রোব্যাট সেন্টারের প্রশিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, অ্যাক্রোবেটিক সেন্টারে আবাসিক থেকে এক বছর ধরে আলিফ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বর্তমানে সে শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পী। শিল্পকলা একাডেমির কাছ থেকে বিশেষ শিল্পী ভাতা পায় সে। কোনো প্রদর্শনীতে তাকে প্রয়োজন পড়লে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়।
একটি প্রদর্শনীতে অংশ নিলে আলিফ সম্মানী হিসেবে ১ হাজার টাকা ও খাবার বাবদ ৭০০ টাকা পায়। কোনো কোনো মাসে তিন থেকে চারটি প্রদর্শনী হয়। আবার কোনো মাসে প্রদর্শনী থাকে না। প্রদর্শনী শেষে কথা হয় আলিফের সঙ্গে। সে জানায়, প্রদর্শনী থেকে ভাতা বাবদ যে টাকা পায়, তাতে লেখাপড়ার খরচ চলে যায়। সংসারের খরচ চালানোর জন্য মায়ের হাতেও সে টাকা দেয়।
আলিফ বলে, ‘কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এলা অল্প কিছু প্রশিক্ষণ নিছি। আরও ভালোভাবে খ্যালা ট্রেলিং লিতে চাই। ভালো ট্রেলিং প্যালে হামরাও চীন, রাশিয়া, কোরিয়া ও জাপানের খ্যালোয়ারের মতন পুরস্কার পামু। শুধু দ্যাশে লয়, বিদ্যাশেও পুরস্কার চাই।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্দেশনা মাউশির, কে কত টাকা পাবেন
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে কোন গ্রেডের শিক্ষকেরা বিশেষ সুবিধা পাবেন বা বিশেষ সুবিধা বাবদ কত শতাংশ হারে টাকা পাবেন, তা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫গতকাল বুধবার মাউশির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মাদ্রাসা ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাতীয় বেতন স্কেলের তুলনীয় গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব (ওপরের) গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১ জুলাই ২০২৫ থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই প্রাপ্য মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া গ্রেড-১০ থেকে তদনিম্ন (নিচের) গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১ জুলাই ২০২৫ থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই প্রাপ্য মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে, তবে ১ হাজার ৫০০ টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। এই গ্রেডের শিক্ষকেরা ‘বিশেষ সুবিধা’র ক্ষেত্রে কেউই ১ হাজার ৫০০ টাকার কম পাবেন না।
আরও পড়ুনআমেরিকার ফুলব্রাইট বৃত্তি: আবেদনের সময় বৃদ্ধি, প্রয়োজন টোয়েফলে ৮০ কিংবা আইইএলটিএসে ৭৫ ঘণ্টা আগেদেশে এখন ২২ হাজার ১৭৪টি এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৮ জনের মতো।