গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৯ বছর বয়সি এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বুলবুল মোল্যা (৫০) নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। গণপিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহেশপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বুলবুল মোল্যা একই ইউনিয়নের মাঝিগাতি গ্রামের মৃত মতলেব মোল্যার ছেলে। তিনি জয়নগর বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে ৯ বছর বয়সি ওই শিশুকে প্রতিবেশি বুলবুল মোল্যা জয়নগর বাজারে নিজ বাড়ির ভবনের ছাদে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাটি ওই শিশু পরিবারের লোকজনকে জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যান তারা। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পুনরায় ওই শিশুকে বিড়াল দেখানোর কথা বলে একই স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বুলবুল। শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে বুলবুলকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এসময় মোবাইলে ধারণকৃত গণপিটুনির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, “বুলবুল মোল্লা প্রায়ই বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে তার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মোল্লার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে।”

গণপিটুনির বিষয় কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শফিউদ্দিন খান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’