আধুনিক জীবনযাত্রায় আর্থিক লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই প্রয়োজন সামনে রেখে সাউথইস্ট ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এসেছে, যা সব স্তরের গ্রাহকের চাহিদা পূরণে সহায়ক।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রেডিট কার্ড ইস্যুয়ার হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংক তাদের কার্ডধারীদের জন্য সুপারশপ ক্যাশব্যাক, লাউঞ্জ এক্সেস, বোগো অফার, ইনস্যুরেন্সসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করেছে। সহজ শর্তে তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধা এবং ইএমআই-সুবিধার পাশাপাশি লেনদেনের ভিত্তিতে রিওয়ার্ড পয়েন্ট সংগ্রহের সুবিধাও রয়েছে।

বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রাসংকটের সময়েও সাউথইস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে পারছেন। লেনদেন ও ব্যক্তিগত তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় গ্রাহকেরা থাকেন নিশ্চিন্ত। পাশাপাশি যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকের সার্বক্ষণিক কন্টাক্ট সেন্টার সেবা গ্রাহকদের জন্য সহায়ক।

সাউথইস্ট ব্যাংকের কার্ডধারীরা বছরজুড়ে শপিং, ডাইনিং, ট্রাভেল, হেলথ ও বিউটি কেয়ারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশসেরা ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারেন, যা তাঁদের কেনাকাটার আনন্দ ও সন্তুষ্টি আরও বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া ব্যাংকটি সম্পূর্ণ শরিয়াহ-সম্মত তিজারাহ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে, যা পেমেন্ট ও লাইফস্টাইলের জন্য নির্ভরযোগ্য সমাধান।

সব গ্রাহকের জন্য দ্রুততম সময়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে সাউথইস্ট ব্যাংক ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে। প্রিমিয়াম, এক্সক্লুসিভ লাইফস্টাইল সুবিধাসহ ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া সর্বাধুনিক ‘সাউথইস্ট ব্যাংক মোবাইল অ্যাপ’ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা ঘরে বসেই ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্টসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যাংকিং-সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কনভেনশনাল ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্ট: ভিসা সিগনেচার, ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা প্লাটিনাম-অনুপমা, ভিসা গোল্ড, ভিসা ক্ল্যাসিক, মাস্টার কার্ড ওয়ার্ল্ড, মাস্টার কার্ড টাইটেনিয়াম এবং মাস্টার কার্ড স্ট্যান্ডার্ড।

ইসলামিক ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্ট: তিজারাহ ইসলামিক ভিসা প্লাটিনাম, তিজারাহ ইসলামিক ভিসা গোল্ড, তিজারাহ ইসলামিক ভিসা ক্ল্যাসিক, তিজারাহ ইসলামিক মাস্টার কার্ড ওয়ার্ল্ড এবং তিজারাহ ইসলামিক মাস্টার কার্ড টাইটেনিয়াম।

প্রিপেইড কার্ড প্রোডাক্ট: প্রিপেইড কার্ড, হজ কার্ড, ইন্সটাশিউর প্রিপেইড হেলথকেয়ার কার্ড এবং যান্ত্রিক ফুয়েল কার্ড।

সাউথইস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাসমূহ

• ১,৩০০+ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ‘লাউঞ্জ কি’-এর মাধ্যমে বিনা মূল্যে প্রবেশের সুবিধা।

• এয়ারপোর্ট পিক অ্যান্ড ড্রপ সার্ভিস।

• সাত ধরনের ইএমআই সুবিধা, সর্বোচ্চ ৩৬ মাস পর্যন্ত।

• প্রিমিয়াম হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান (BOGO)’ ফ্রি অফার।

• পার্টনার আউটলেটে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা।

• মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট এবং রিডেম্পশনের মাধ্যমে ক্যাশব্যাক।

• সেফটি-নেট ইনস্যুরেন্স।

• ভিসা কুইক রিড কার্ড।

• অটোডেবিট সুবিধা।

• কোনো অতিরিক্ত বা ওভার লিমিট ফি নেই।

• ট্রানজেকশন সংখ্যা ও পরিমাণের ভিত্তিতে রিনিউয়াল ফি মওকুফ।

• সাউথইস্ট ব্যাংকের শাখা থেকে পিওএস মেশিন ব্যবহার করে ক্যাশ উত্তোলনের সুবিধা।

• কার্ড চেকের মাধ্যমে ক্যাশ উত্তোলনে ইন্টারেস্ট-ফ্রি সময়সীমা।

• বিল পরিশোধের রিয়েল-টাইম ক্রেডিট অ্যাডজাস্টমেন্ট।

• ক্রেডিট কার্ড বিল পরিশোধের ১০টি সহজ উপায়।

• তাৎক্ষণিক কার্ড ও পিন ইস্যু করার সুবিধা।

• এসএমএস ও ই–মেইলের মাধ্যমে ট্রানজেকশন অ্যালার্ট।

• ডিক্লাইন্ড ট্রানজেকশনের জন্য নোটিফিকেশন।

• ইন্টার-ব্যাংক কার্ড থেকে কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধা।

• নিরাপদ অনলাইন শপিংয়ের জন্য ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’।

রমজান মাসের বিশেষ অফারসমূহ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে আকর্ষণীয় সুযোগ ও সুবিধা। সেগুলো হলো—

• ব্যুফে ইফতারসহ ডিনারে একটি কিনলে তিনটি ফ্রি, একটি কিনলে দুটি ফ্রি এবং একটি কিনলে একটি ফ্রি অফার।

• ছয়টি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড শপে আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক।

• আটটি চেইন সুপারশপে আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক।

• ১৪ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সব কেনাকাটার ওপর ১০ গুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট।

• লাইফস্টাইল শপ ও রেস্টুরেন্টে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাউথইস্ট ব্যাংক দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে দেশব্যাপী বিস্তৃত শাখা, এটিএম বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য সেবা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন southeastbank.

com.bd

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত জ র হ ইসল ম ক স উথইস ট ব য গ র হক র ব যবহ র ল নদ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নেই নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড ও ছুটি

নিয়োগপত্র নেই। এ কারণে চাকরির নিশ্চয়তাও নেই। দেওয়া হয় না পরিচয়পত্র। নেই কর্ম ঘণ্টার হিসাব। তবে রয়েছে মজুরিবৈষম্য ও জীবনের ঝুঁকি। এ চিত্র খুলনার বরফকলে কর্মরত বরফ শ্রমিকদের।

অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বরফকলের শ্রমিকেরা জানেন না মে দিবসের অর্থ। তারা শুধু এটুকু জানেন, কাজ থাকলে মজুরি পাবেন, অন্যথায় জুটবে না কিছু। খুলনার নতুন বাজার, রূপসা, শিপইয়ার্ড ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বরফ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ঝুঁকি ও বৈষম্যের এই চিত্র।

সরেজমিনে জানা গেছে, লবণ পানি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংমিশ্রণে বরফের প্রতিটি ক্যান তৈরি হয়। এ কাজে প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যুসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় হাত-পা ভিজে ঠান্ডা থাকায় ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়। এর বাইরে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগেন এখানকার শ্রমিকেরা। পাতলা বরফে অনেক সময় হাত-পা কেটে যায়। কিন্তু মালিক বা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের অ্যাপ্রোন বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন না। তবে দুর্ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

আরো পড়ুন:

ফুড ডেলিভারিম্যান: খাবারের রাজ্যে অতৃপ্ত দিনরাত

মহান মে দিবস: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সংস্কারে জোর সরকারের

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার, নিউমার্কেট, শিপইয়ার্ড, রায়েরমহল এবং রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি বরফকল রয়েছে। এর মধ্যে নতুন বাজার ও পূর্ব রূপসায় সর্বাধিক বরফকল রয়েছে। এসব কলে গড়ে দশ জন হিসেবে দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।

রূপসার নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করেন মোহাম্মদ রাসেল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি হলেও পরিবার নিয়ে রূপসার জাবুসা এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই বরফকলে কাজ করছেন তিনি। রাসেল জানান, তাদের মাসিক বেতন নেই। নেই নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র। মূলত উৎপাদনের উপর প্রতি পিস বরফের ক্যান অনুযায়ী ১২ টাকা হারে মজুরি পান। নামমাত্র এ মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার ঠিকমতো চলে না।

‘‘তিন বছর আগে নির্ধারণ করা মজুরি এখনো চলছে। লোকসানের অজুহাতে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়াতে চান না। তাদের মতো শ্রমিকদের কোন বেতন-বোনাস নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে অর্থাৎ কাজ থাকলে মজুরি আছে কাজ না থাকলে নেই। মালিকদের এ সিদ্ধান্ত না মানলে চাকরিও থাকে না।’’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন রাসেল হোসেন।

একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গড়ে প্রতিমাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা মজুরি পাই। কিন্তু মাসিক খাবার খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা চলে যায়।’’

তবে জাকির হোসেন ব্যাচেলর হওয়ায় কারখানার মধ্যেই থাকেন। বিয়ের পর এ কাজ করার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।

বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১-এ অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ সেলিম শেখ। তার জন্ম নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা হলেও কর্মসংস্থানের কারণে রুপসার বাগমারা গ্রামে বসবাস করছেন। তিনি জানান, বর্তমান বয়স ৮৪। ২০ বছর বয়স থেকেই বরফ কারখানার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে হেলপার হিসেবে ২৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অপারেটর হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করতে হয়। তবে সবসময় উৎপাদন না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা কারখানায় থাকতে হয়। ছুটি পান না।

‘অ্যামোনিয়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। তবে তিনি কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হননি বলে জানান তিনি।

‘মায়ের দোয়া আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে’র শ্রমিক জাকারিয়া হাওলাদার বলেন, ‘‘চার বছর বরফকলে কাজ করছি। চাকরির ভবিষ্যৎ নেই। শ্রম দিতে পারলে মজুরি হয়, না হলে হয় না। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেন না মালিকপক্ষ। বেতন বাড়ানোর কথা বললে তারা আমলে নেন না।’’

একই এলাকার ‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করছেন মোঃ মুন্না গাজী ও মোঃ হাসান শেখ। তারা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুজনেই মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই।

‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’র ম্যানেজার আশিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষায় উদাসীন। এখানে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার মাঝেমধ্যেই লিক হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৩২টি আইস উৎপাদনের ক্যানের প্লান্ট রয়েছে। তবে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ক্যান বরফ উৎপাদন হয়। ছয়জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ- ২'র ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘বরফের মূল ক্রেতা চিংড়ি ও সাদা মাছের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ ও দোকানে শরবত বিক্রেতারাও কারখানা থেকে বরফ কিনে নেন। গ্রীষ্ম মৌসুমের ৬ মাস চাহিদা থাকে এবং কিছুটা লাভের মুখ দেখা যায়। তবে শীত মৌসুমের ছয় মাস বরফের চাহিদা কম থাকে। তখন কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি দিয়ে লোকসান গুণতে হয়।’’

জামাল উদ্দিন স্বীকার করেন কারখানায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও তা এড়াতে কোন সরঞ্জাম নেই। তবে অপারেটরদের অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝুঁকি প্রতিরোধে মাক্স সরবরাহ করা হয়।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১'র মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রিয়াদ-উল-জান্নাত সৈকত বলেন, ‘‘ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কখনো লাভ, কখনো লোকসান এভাবেই চলছে। গত বছর কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৯ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’’

তবে লাভ হলে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন রূপসা বেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি বরফকলের ৪০ জন শ্রমিক তাদের ইউনিয়নের সদস্য। বিগত দেড় বছর আগে মজুরির সমস্যা নিয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে দুই একজন শ্রমিক অভিযোগ করলে ইউনিয়নের মাধ্যমে সেটির সমাধান করে দেন তারা। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসে না।’’

বরফকলের শ্রমিকদের নিয়ে তারা মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ