ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তি, দেখুন বিস্তারিত
Published: 1st, March 2025 GMT
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওআইসি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশ আর ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পান। সেই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। সে হিসেবে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শর্ট লিস্ট করে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।
আইইউটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। ২ মে (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ১৬টি ভাষা কোর্সে ভর্তি, দেখুন খুঁটিনাটি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টনভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে আবেদনকারী প্রার্থীদের। এর মধ্যে গণিত-৩৫, পদার্থ-৩৫, রসায়ন-১৫, ইংরেজি-১৫ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষা হবে দুই ঘণ্টায় (সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা)। প্রশ্ন হবে ইংরেজিতে। প্রতি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.
১. বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই), আসন ১২০;
২. বিএসসি ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই), আসন ৬০;
৩. বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), আসন ১৮০;
৪. বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), আসন ১২০;
৫. বিএসসি ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (এসডব্লিউ), আসন ৬০;
৬. বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই), আসন ১২০;
৭. বিবিএ ইন টেকনোলজি ম্যানেজম্যান্ট (বিবিএ–টিএম), আসন ৬০;
৮. ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএসসিটিই), আসন ৩০।
ভর্তির গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—*ভর্তি আবেদন শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, বিকেল ৩টা থেকে
*আবেদন শেষ: ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার, বিকেল ৩টায়।
*যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, সোমবার, রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।
*ছবি আপলোড এবং অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড: ১৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার (বেলা ২টা) থেকে ২৩ এপ্রিল, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
*অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডজনিত সমস্যার সমাধান: ২৩ থেকে ২৪ এপ্রিল, (সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত)।
*ভর্তি পরীক্ষা: ২ মে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
*মেধা তালিকা প্রকাশ: ৫ মে, সোমবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইট মিলবে বিস্তারিত তথ্য
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ