‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
Published: 1st, March 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় (২০২৫) প্রকাশিত হয়েছে গল্প সংকলন ‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থে যাদের লেখা স্থান পেয়েছে তারা হলেন-অমল সাহা, অসীম হিমেল, ইশরাত তানিয়া, কামরুল আহসান, খালেক মল্লিক, খোরশেদ বাহার, মাসুদুল হক, ঝর্না রহমান, শাশ্বত নিপ্পন, নাসিমা আনিস, নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, পারভেজ হোসেন, ফয়জুল ইসলাম, আহমদ বশীর, মাসউদ আহমাদ, মোজাফ্ফর হোসেন, মোজাম্মেল হক নিয়োগী, মোহিত কামাল, ম্যারিনা নাসরীন, মনি হায়দার, শোয়েব শাহরিয়ার, সাদিকুল নিয়োগী পন্নী, সালেহা চৌধুরী, সায়মা ইসলাম, সৈয়দ মনজুর কবির, ফারহানা রহমান, স্বকৃত নোমান, সম্পদ বড়ুয়া, হোসনে আরা মণি, হুমায়ূন মালিক, মালেকা পারভীন, খান মুহাম্মদ রুমেল, সোলায়মান সুমন, পাপড়ি রহমান, রোকেয়া ইসলাস, শাহনাজ মুন্নী, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, উম্মে ফারহানা, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, জিয়া হাশান, রেহানা বীথি, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, আকমল হোসেন নিপু, নাভেরা হোসেন, ফরিদুর রহমান, তানভীর মোকাম্মেল, আযাদ কালাম, সাঈদ আজাদ, সেলিম মোরশেদ এবং সাইফ বরকতুল্লাহ।
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন শতাব্দী জাহিদ। গ্রন্থটির দাম ৯০০ টাকা।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় ‘চলতি পথের বাঁকে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
স্মরণীয় একটি উপন্যাস লেখার স্বপ্ন দেখি: মাসউদ আহমাদ
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বই রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।