Samakal:
2025-05-01@05:08:11 GMT

কবিতা

Published: 3rd, March 2025 GMT

কবিতা

ভুলগুলো ভুল পথে 
তুহিন বিশ্বাস 

ঝরে ঝরে পড়া পাপড়িগুলো ফিরে আসুক 
জানুক বিচ্ছিন্ন সম্পর্কে রক্তক্ষরণের যন্ত্রণা  
আর শূন্যপুরে অন্তরাত্মার নষ্টকষ্ট মহাকাব্য। 

স্মৃতিরা অস্তিত্বের লড়াইয়ে বারংবার পরাস্ত
ইচ্ছেগুলো নির্বাসনে, স্বপ্নের দরজাটাও বন্ধ 
ট্রেনের অচল ইঞ্জিন, বগিগুলো নিথর নিস্তব্ধ। 

জরাজীর্ণ ডায়েরির আমি’র তুমিটা নিরুদ্দেশ 
সকল মিথ্যে অভিমান বড্ড কুৎসিত, জটিল 
ভুলগুলো ভুল পথে হেঁটে হেঁটে রক্ত ঝরায়। 

ভাঙা মনের কার্নিশে সন্দেহ ভাইরাসের রূপ
অন্ধের বাজারে আলো প্রতিষ্ঠা নিছকই স্বপ্ন 
ঝরে পড়া পাপড়িও আজ অনুতপ্ত অবেলায়। 

 

ঘেঁটুফুলের বসন্ত
নবী হোসেন নবীন

বসন্তের চিঠি নিয়ে ফোটে ঘেঁটুফুল
গাছে গাছে থোকা থোকা আমের মুকুল।
মহানন্দে অলিকুল চুমিয়া মঞ্জরি,
বাসন্তী গিতালি গায় গুঞ্জরি গুঞ্জরি।
ঘেঁটুফুলে কেউ কভু নাহি গাঁথে মালা
বুকে তার নেই তবু কোনো দুঃখ জ্বালা।
প্রাণ খোলে হেসে বলে সাদা ঘেঁটুফুল
রাঙাতে পারি না তব প্রেয়সীর চুল।
চরণের তলে যবে পেয়ে গেছি ঠাঁই
প্রফুল্ল মনে আমার কোনো দুঃখ নাই।
তোমার পথের ধারে চরণের তলে
পড়ে থাকা পাপড়ি মোর দুই পায়ে দলে।
হেসে খেলে চলে যাও করে কলরোল
প্রিয়ার খোঁপায় গুঁজে আমের মুকুল।
আমাকে পিষে যখন যাও অভিসারে
গর্বে বুক ভরে যায় তব পদভারে।

 

জীবন ও মৃত্যু
শাহরিয়ার কাসেম

বাঁশের শুকনো পাতার মচমচে শব্দে
আঁতকে উঠে আমাদের জীবন।
অন্তঃসারশূন্যতায় কেটে যায় শৈশব কৈশোর। 
দূর্বাঘাসে শিশির কণার মতো
ঝরে যায় জীবনের লালিত স্বপ্ন। 
দিগ্বিদিক ঘুরছে জীবনের আশার প্রতিচ্ছবি। গন্তব্য না পেয়ে বারবার একই পথ ধরে
ফিরে আসে পথিক। 
মৌনতা ভেঙে পাড়ি জমাই
জাগতিক কোনো প্রান্তে।

প্রকৃত পক্ষে আমরা কোথাও যাই না–
বরং চলে যাই মৃত্যুর খুব কাছাকাছি।

 

অ্যানিমেটেড জীবন
মোরশেদুল ইসলাম

এবং বসন্ত আসে, আমাদের চলে যায় রং
সোনার জীবন থামে ক্যালেন্ডারের বর্ণিল পাতা।

পৌষের পরশে যারা গিয়েছে হাইবারনেশনে
আড়মোড়া ভেঙে ইলিয়নের পাঞ্জাবি পরে,
ব্যাকুল বুনো ফুলের সুবাস দমকা হাওয়ায়
সরব উচ্ছ্বাস ভ্রমরের আদৃত গুঞ্জন;
প্রকৃতির প্রাণস্পন্দন চেয়ে চেয়ে দেখে প্রেমিক
কানায় কানায় প্রেমেভরা নদী মায়াময়।
পাখিদের পালকে সুইট সিক্সটিনের জেল্লা
কণ্ঠে সুরের মূর্ছনা আপ্লুত নিসর্গ মন,
বাদ যায় না ভার্চ্যুয়াল বলয়
স্বপ্নের মতো এসে চলে যায় স্বপ্নের ন্যায়।
ফেরারি ওল্ড হলে ক্যাডিলাক, রোলস রয়েসের
স্বপ্ন কবে কোথায় ছেড়েছে আমাদের?

মধু বিলানো ফুলের ওপরে বিরহ ঘোরে 
অতল মুগ্ধ এই অ্যানিমেটেড জীবন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ