বাংলা সংগীতের যুবরাজ আসিফ আকবর। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশ ও দেশের বাইরে বিশাল ফ্যানবেজ রয়েছে আসিফের। গানের সুবাদে ঘুরেছেন বিশ্বের অনেক দেশ। তবে রাজনৈতিক কারণে এই সংগীতশিল্পীর পাসপোর্ট অনেকদিন আটকা ছিল। বছর দুয়েক আগে তা উদ্ধার করতে পেয়েছেন তিনি। এবার কথা কথায় উঠে এলো পাসপোর্ট ও বিমান নিয়ে কিছু কথা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসিফ লিখেছেন, ‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। ঘুরে বেড়াচ্ছি বিদেশ বিভূঁই। বিদেশ সফরে আমার প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিমান) আর ইউএস বাংলা। আমি ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কাটি। বিজনেস ক্লাস খুব অস্বস্তিকর। কারণ, দামী বলে অপচয় মনে হয়। তবে সিট খালি থাকলে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেয় এটা খুব সম্মানের সাথে উপভোগ করি।’

আসিফ আরও লিখেছেন, ‘খাবারের মান আর আপ‍্যায়নে বিমান সেরা, শুধু লাগেজ সেক্টরে পুরনো দৈন্যতা রয়েই গেছে, মাঝে মাঝে ফ্লাইট শিডিউলও ঠিক থাকে না। বিমান হতে পারে দেড় কোটি প্রবাসীর স্বপ্নের ক‍্যারিয়ার। তাদের মোট এয়ারক্রাফট এখন ২৪টি। টিকেটের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি নিয়ম করেছে পাসপোর্ট ছাড়া টিকেট বুকিং দেয়া যাবে না। এটা করা সম্ভব হলে নাগালের মধ‍্যে চলে আসবে টিকেটের দাম, ভেঙ্গে যাবে সিন্ডিকেট, প্রবাসী এবং পর্যটকরা পাবেন ন্যায্য দামে টিকেট। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মত কিছু অপশন প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ছেড়ে দিলে সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।

সফর শেষে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আসিফ বলেন, ‘শেষ লন্ডন সফরে দেখলাম এক লোক খুব চোটপাট দেখাচ্ছে বিমানের অফিশিয়ালদের সাথে। যখন হিথ্রো'র নিজস্ব সিকিউরিটি আসলো তখন তিনি দমে গেলেন, কারণ ভুলটা তারই ছিল। এই ব্যবহার অবশ্য বিদেশী অন্য এয়ারলাইন্স হলে করতেন না। ব্যাপারটা এ রকম; আমাদের ব্যবহার ফার্মগেটে একরকম, আর জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে অত্যন্ত সুবোধ!’

সবশেষে আসিফ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী ক‍্যারিয়ার, বিমান হয়ে উঠুক দেশের মানুষের অহংকারের জায়গা। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলে এমডি/ সিইও বরাবর মন্তব‍্য করার ফর্মও আছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-আকাশে শান্তির নীড়। শুভকামনা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ