স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর বিষপানে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
Published: 4th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহে গফরগাঁও উপজেলায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর বিষপান করে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন স্বামী। গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে হত্যার পর শনিবার পলাতক অবস্থায় ওই ব্যক্তি বিষ পান করেন। পরে আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম নাজমুল আলম। তিনি গফরগাঁও উপজেলার যশরা ইউনিয়নের কুর্শাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর স্ত্রী মার্জিয়া আক্তারকে (২৯) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলেন। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শফিক উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মারা যাওয়া নাজমুল আলম স্ত্রীকে হত্যার আগেও বিষ খেয়েছিলেন। স্ত্রীকে মারার পর শনিবার আবার বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিবিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মানসিক ভারসাম্যহীন নাজমুল আলম স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর থেকে পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। কিন্তু আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নাজমুল বিষ পান করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।