ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ মালিক সমিতির
Published: 4th, March 2025 GMT
সারাদেশে ইটভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রশাসনের জরিমানা আদায় ও ভাঙচুর করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি জয়পুরহাট সদর উপজেলা শাখা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আমতলী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইটভাটার মালিকরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির জয়পুরহাট জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন লেবু, সহসভাপতি আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, জয়পুরহাট সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাসুদ রানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইটভাটা মালিকরা কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশ কিছু লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যাংক ঋণ ছাড়াও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঋণ করেছেন। শ্রমিকদের অগ্রিম বেতন বাবদ টাকা ছয় মাস আগে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন মালিক ও শ্রমিকরা। ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মোটা অঙ্কের জরিমানা, ভাঙচুর বন্ধ না করলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশ শেষে জয়পুরহাট সদর ইউএনও রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।
সংলাপের অংশ নেওয়া সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায় হচ্ছে, যেন সুযোগকে হাতছাড়া না করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, বিশেষ করে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত রকম সম্ভাবনাকে প্রায় তিরোহিত করে দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম অংশীদার থেকেছে। সেই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া কমিশনের লক্ষ্য।
আলী রীয়াজ বলেন, সকলে মিলে আমরা একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্খার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়। আজকে আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪ শ’ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।