ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পলাতক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, ৩ দিন পর জানল পরিবার
Published: 6th, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমদাদ সাগর (৩২) গ্রেপ্তার এড়াতে পলিয়ে ছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেও কিন্তু মৃত্যুকে আর এড়াতে পারেননি। ঢাকার শাহজাদপুর এলাকায় একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর খবর তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছে তাঁর পরিবার। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আজ ঢাকা গিয়ে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
মারা যাওয়া এমদাদ সাগর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মৃত জারু মিয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে এমদাদ এলাকাছাড়া। তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা আছে।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার ভাটারা থানার শাহজাদপুরে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন মারা যান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন এমদাদ সাগর। নাম ও পরিচয় শনাক্ত না করতে পারায় তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান ফোন করে বিজয়নগর থানা–পুলিশকে পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন। বিজয়নগর থানা–পুলিশ এমদাদের মামাতো ভাই লিটন মুন্সিকে বিষয়টি জানান। এরপরই এমদাদের মৃত্যুর বিষয়টি স্বজন ও পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।
এ বিষয়ে আজ বেলা পৌনে ৫টার দিকে লিটন মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, এমদাদের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এক মাস আগে এমদাদ মালয়েশিয়ায় যান। সেখান থেকে আবার শ্রীলঙ্কা যান। গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া হোটেলে উঠেছিলেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় র ব জয়নগর থ ন এমদ দ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।