Prothomalo:
2025-09-18@06:09:47 GMT

পথের ধারে অনাদরে ফোটে যে ফুল

Published: 7th, March 2025 GMT

এখন ফাল্গুন মাস। দেখা মিলছে এ বসন্তে ফুটে থাকা সব ফুলের সঙ্গে। যারা অনাদর-অবহেলাতেও গাছে গাছে ফোটে। তারই একটি পথের পাশে হঠাৎ দেখা পাওয়া ভাঁটফুল, কারও কাছে আদরের বনজুঁই।

শহর থেকে বাইরে একটু পা বাড়ালেই এখন ভাঁটফুলের দেখা মিলছে। গ্রামীণ, দূরপাল্লার যেকোনো সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ধানখেতের পাশে এ সময়ে ভাঁটফুলের দেখা পাওয়া যায়। কী নরম রূপ খুলে ছোট-বড় ঝোপে ফুটে আছে তারা। বাড়ির আনাচে-কানাচে, খালের পাড়ে ভাঁটফুলের এখন বসন্তকাল। গাছের ডালে ডালে ফুলগুলো সমবেত হয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে।

কবি জীবনানন্দ দাশ কবেই বলে গেছেন, ‘জারুল গাছের তলে রৌদ্র পোহায়/ রূপসী মৃগীর মুখ দেখা যায়, শাদা ভাঁট পুষ্পের তোড়া।’ পথের পাশে এখন ফুলের তোড়া নিয়ে পথিককে অভ্যর্থনার খোশ মেজাজে আছে ভাঁটফুল। ওরা সারাটা বছর পথের পাশে একা, নয়তো অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। তখন তাদের আলাদা করে হয়তো কারও চোখে পড়ে না। লম্বাটে চ্যাপ্টা পাতার শরীর মেলে তারা তাদের মতো বেঁচে থাকে। কখনো পাতা ঝরে গেলে শুধু শুকনা ডালপালারই দেখা পাওয়া যায়। এত অবহেলা নিয়ে তারা বাঁচে, তবু ফুল ফোটানোর সময় এলে কোনো অবহেলা-অযত্নের কথাই আর তারা মনে রাখে না।

ভাঁটফুল এই গ্রামপ্রকৃতির অতিপরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ। এর অনেক নাম—ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই, ঘেটু, ভন্টাকি বা চৈতঘাড়া ফুল। মৌলভীবাজারে অনেকে এটিকে ‘ভাটিগাছ’ নামে ডেকে থাকেন।

মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার শহরের একপাশে ফাটাবিল এলাকার আধা পাকা সড়ক ধরে কিছু দূর যেতেই অনেকগুলো ভাঁটফুলের সঙ্গে দেখা। ওই এলাকায় একসময় বিলমতো ছিল। তবে সেই বিল ক্রমশ হারিয়ে গেছে। শহরের চেহারা নিয়ে যা জেগে উঠছে, তার জমি ভরাট। নতুন নতুন দালানবাড়ি তৈরির হিড়িক দেখলেই অনুমান করা যায়। কিছু জায়গা এখনো ফাঁকা রয়ে গেছে। সেই ফাঁকা জায়গাগুলোতে ঝেঁপে ফুটেছে ভাঁটফুল। সাদা সাদা পাপড়ি মেলে সকালের রোদে ভাসছে তারা। পাপড়ির গোড়ার দিকে বেগুনি রঙের ছোঁয়া ভিন্নমাত্রা এনেছে ফুলে।

ভাঁটফুল এই গ্রামপ্রকৃতির অতিপরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। অনেক নাম আছে তার। ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই, ঘেটু, ভন্টাকি বা চৈতঘাড়া ফুল। মৌলভীবাজারে অনেকে এটিকে ‘ভাটিগাছ’ নামে ডেকে থাকেন। ভাঁট আসলে গুল্মজাতীয় দেশি বুনো ফুল। ভাঁটের গাছ খুব একটা বড় হয় না। ১ থেকে ২ মিটার উচ্চতার ছোট ছোট গাছে তোড়ার মতো ফুল ফোটে। মার্চ-এপ্রিলজুড়ে ফুল ফুটে থাকে। ভাঁট ফুলের রং ধবধবে সাদা। প্রতিটি ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে।

ভাঁটফুল গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজকীয় ভোজে ডায়ানার সাজে ভক্তদের চমকে দিলেন কেট মিডলটন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা নৈশভোজের কিছু ছবি দেখে বিশ্বজুড়ে প্রিন্সেস ডায়ানার ভক্তরা চমকে উঠেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাতে উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হলে রাজকীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। সেখানে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার বিখ্যাত ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ পরে আসেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন।

লাভার্স নট টিয়ারা পরে নৈশভোজে আসেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন

সম্পর্কিত নিবন্ধ