Prothomalo:
2025-05-01@09:30:53 GMT

পথের ধারে অনাদরে ফোটে যে ফুল

Published: 7th, March 2025 GMT

এখন ফাল্গুন মাস। দেখা মিলছে এ বসন্তে ফুটে থাকা সব ফুলের সঙ্গে। যারা অনাদর-অবহেলাতেও গাছে গাছে ফোটে। তারই একটি পথের পাশে হঠাৎ দেখা পাওয়া ভাঁটফুল, কারও কাছে আদরের বনজুঁই।

শহর থেকে বাইরে একটু পা বাড়ালেই এখন ভাঁটফুলের দেখা মিলছে। গ্রামীণ, দূরপাল্লার যেকোনো সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ধানখেতের পাশে এ সময়ে ভাঁটফুলের দেখা পাওয়া যায়। কী নরম রূপ খুলে ছোট-বড় ঝোপে ফুটে আছে তারা। বাড়ির আনাচে-কানাচে, খালের পাড়ে ভাঁটফুলের এখন বসন্তকাল। গাছের ডালে ডালে ফুলগুলো সমবেত হয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে।

কবি জীবনানন্দ দাশ কবেই বলে গেছেন, ‘জারুল গাছের তলে রৌদ্র পোহায়/ রূপসী মৃগীর মুখ দেখা যায়, শাদা ভাঁট পুষ্পের তোড়া।’ পথের পাশে এখন ফুলের তোড়া নিয়ে পথিককে অভ্যর্থনার খোশ মেজাজে আছে ভাঁটফুল। ওরা সারাটা বছর পথের পাশে একা, নয়তো অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। তখন তাদের আলাদা করে হয়তো কারও চোখে পড়ে না। লম্বাটে চ্যাপ্টা পাতার শরীর মেলে তারা তাদের মতো বেঁচে থাকে। কখনো পাতা ঝরে গেলে শুধু শুকনা ডালপালারই দেখা পাওয়া যায়। এত অবহেলা নিয়ে তারা বাঁচে, তবু ফুল ফোটানোর সময় এলে কোনো অবহেলা-অযত্নের কথাই আর তারা মনে রাখে না।

ভাঁটফুল এই গ্রামপ্রকৃতির অতিপরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ। এর অনেক নাম—ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই, ঘেটু, ভন্টাকি বা চৈতঘাড়া ফুল। মৌলভীবাজারে অনেকে এটিকে ‘ভাটিগাছ’ নামে ডেকে থাকেন।

মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার শহরের একপাশে ফাটাবিল এলাকার আধা পাকা সড়ক ধরে কিছু দূর যেতেই অনেকগুলো ভাঁটফুলের সঙ্গে দেখা। ওই এলাকায় একসময় বিলমতো ছিল। তবে সেই বিল ক্রমশ হারিয়ে গেছে। শহরের চেহারা নিয়ে যা জেগে উঠছে, তার জমি ভরাট। নতুন নতুন দালানবাড়ি তৈরির হিড়িক দেখলেই অনুমান করা যায়। কিছু জায়গা এখনো ফাঁকা রয়ে গেছে। সেই ফাঁকা জায়গাগুলোতে ঝেঁপে ফুটেছে ভাঁটফুল। সাদা সাদা পাপড়ি মেলে সকালের রোদে ভাসছে তারা। পাপড়ির গোড়ার দিকে বেগুনি রঙের ছোঁয়া ভিন্নমাত্রা এনেছে ফুলে।

ভাঁটফুল এই গ্রামপ্রকৃতির অতিপরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। অনেক নাম আছে তার। ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই, ঘেটু, ভন্টাকি বা চৈতঘাড়া ফুল। মৌলভীবাজারে অনেকে এটিকে ‘ভাটিগাছ’ নামে ডেকে থাকেন। ভাঁট আসলে গুল্মজাতীয় দেশি বুনো ফুল। ভাঁটের গাছ খুব একটা বড় হয় না। ১ থেকে ২ মিটার উচ্চতার ছোট ছোট গাছে তোড়ার মতো ফুল ফোটে। মার্চ-এপ্রিলজুড়ে ফুল ফুটে থাকে। ভাঁট ফুলের রং ধবধবে সাদা। প্রতিটি ফুলে পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে।

ভাঁটফুল গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গড়তে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশু করণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’

‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ