Prothomalo:
2025-09-18@04:57:35 GMT

আসলে আমি বাংলাদেশেরই মেয়ে

Published: 8th, March 2025 GMT

প্রথম আলো :

এ আর রাহমানে টিমে যুক্ত হওয়ার গল্প শুনতে চাই

নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার : বিভিন্ন গান কভার করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতাম। তখন বেশ সাড়া পাচ্ছিলাম। এ আর রাহমানের ড্রামার রঞ্জিত বারতের একজন ছাত্রের সঙ্গে তখন আমার পরিচয় হয়। ২০২১–এর ডিসেম্বরে তাঁর মাধ্যমেই রঞ্জিত আঙ্কেল আমাকে প্রস্তাব দেন। আমার আগ্রহ আছে কি না, জানতে চান। এটা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়ি! সে সময় রাহমান স্যারের দিল্লি ও দুবাইতে দুটি শো করার কথা ছিল। পরে তাঁর টিম থেকে যখন আমার উত্তর জানতে চেয়ে বার্তা পাঠানো হয, তখন আমি বাক্‌রুদ্ধ হয়ে যাই। বারবার মনে হচ্ছিল, ভুয়া না তো! এরপর রঞ্জিত আঙ্কেল আমাকে আবার কল করেন। একটা গানের তালিকা দিয়ে সেগুলো তৈরি রাখতে বলেন। আমি তখন তাঁকে বললাম, ‘এটা কি সত্যি?’ তিনি আমাকে বলেন, ‘সত্যি। তুমি প্র্যাকটিস শুরু করো।’

প্রথম আলো:

প্রথম দিনের স্মৃতি কি মনে পড়ে?

নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার : আসলে প্রথম দিন প্রচণ্ড নার্ভাস ছিলাম। এটাই স্বাভাবিক নয়? নতুন জায়গা, সিনিয়র ও গুণী মানুষদের সঙ্গে দেখা। কিন্তু সেখানে গিয়ে অবাক হয়েছি, সবাই এত আন্তরিক! আমাকে একবারের জন্যও মনে করতে দেননি আমি নতুন। মনে হচ্ছিল, যেন আমি তাঁদের অনেক চেনা। অনুষ্ঠানের আরেক দিন প্র্যাকটিস করছিলাম সবাই। ৪০টির মতো গানে সেদিন বাজিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছিল, চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এমন সময় দেখি, স্যার আমার দিকে আসছেন। আমাকে অভিনন্দন জানান, আশীর্বাদ করেন। তারপর বলেন, ‘ওয়েলকাম টু দ্য টিম।’

এ আর রাহমানের সঙ্গে নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার। শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ