আততায়ী সাকাতার গল্প এটি, শিনজো শহরের বাসিন্দা সে। অপরাধজীবনকে পেছন ফেলে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে শিনজো। এমন সময়ই ঘটে ঘটনাটি, শহরের কুখ্যাত কিমেন-গুমি সিন্ডিকেট আক্রমণ করে শিনজোর বাড়িতে। তার স্ত্রী খুন হয়, আক্রমণকারী ধরে নেয়, শিনজোও মারা গেছে। তবে সে সৌভাগ্যবশত বেঁচে যায়। প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে ফিরে আসে শহরে। রিভেঞ্জ থ্রিলারের এমন চেনা গল্প নিয়েই জাপানি সিনেমা ‘ডেমন সিটি’। তবে গল্প চেনা হলেও অ্যাকশন আর নির্মাণের গুণে ছবিটি মন জয় করেছে দর্শকদের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তির পর এখন নেটফ্লিক্সের অ-ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার দুই নম্বরে আছে সিনেমাটি।

‘ডেমন সিটি’ তৈরি হয়েছে মাছামিছি কাওয়াবের জনপ্রিয় মাঙ্গা সিরিজ ‘ওনি গোরোশি’ অবলম্বনে। সেজি তানকা পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তমা কুনতা, আমি তৌমা, মাশাহিরো হিগাশিডে।

মুক্তির পর ‘ডেমন সিটি’ চমকে দিয়েছে দুর্দান্ত মার্শাল আর্ট ও অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি দিয়ে। অনেক দর্শক সিনেমাটির সঙ্গে বহুলচর্চিত জন উইক ফ্র্যাঞ্চাইজির মিল খুঁজে পেলেও এর মধ্যেই এ সিনেমার আলাদা একটা ভক্তশ্রেণি তৈরি হয়েছে।

‘ডেমন সিটি’র পোস্টার। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড মন স ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ