গোলাপি বল, দিবারাত্রির ম্যাচ—টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বার্ষিকীর ম্যাচটি রঙিনই হচ্ছে
Published: 11th, March 2025 GMT
২০২৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বার্ষিকীতে টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড—এটা পুরোনো খবর। নতুন খবর, টেস্ট ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) সেই ম্যাচটি হবে গোলাপি বলে দিবারাত্রির। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আজ জানিয়েছে এই খবর। মাঠে বেশি দর্শক টানতেই এই উদ্যোগ।
১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ এমসিজিতে শুরু হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচের ১৫০তম বার্ষিকীতে আয়োজিত হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টটি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১১ মার্চ। ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গড়ালে শেষ হবে ১৫ মার্চ। এমসিজিতে এটাই হবে ছেলেদের ক্রিকেটের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। এ বছর মেয়েদের অ্যাশেজের একটি দিবারাত্রির টেস্ট হয়েছে এখানে।
ফ্লাডলাইটের নিচে খেলাটা হবে আমাদের খেলাটার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও টেস্ট ক্রিকেটের আধুনিক রূপের উদ্যাপন। দারুণ এই উপলক্ষে বেশি মানুষের উপস্থিতিও নিশ্চিত করবে এই সিদ্ধান্ত। টড গ্রিনবার্গ, প্রধান নির্বাহী, সিএইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্নে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে ২০২১ সালে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
১ মাস আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অথচ এসব যন্ত্রগুলো বিভিন্ন দপ্তর, অফিস ও ক্লাস রুমের দেয়ালে ঝুলছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। আবারে যেখানে, সেগুলোর বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। চলতি বছরের ২৯ জুন এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ন বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব রকি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ নেই। ঘটনাক্রমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে এই মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থ ঠিকভাবে কাজ না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এগুলো দ্রুত পরিবর্তন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সূত্রধর বলেন, “মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রায়ই কাজ করে না বা অল্প সময়ে গ্যাস শেষ হয়ে যায়। ফলে জরুরি অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঘটতে পারে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবন সরাসরি ঝুঁকির মুখে পড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার ঘাটতি একটি বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”
এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার লোকমান হাকিম বলেন, “এ বিষয়ে টেন্ডার হয়ে গেছে। টেন্ডার কেউ পেয়েছে। কাজের অনুমতি পেলে তারা কাজ শুরু করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “যারা কাজটা পেয়েছে। তারা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো লাগাবে। কিন্তু এখনো লাগায়নি। আর এটা নিয়মিত কাজের অন্তর্ভুক্ত।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী