বলিউডের দাপুটে দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খান। দুজনের বয়সই এখন ৫৯। তারপরও তাদের সিনেমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ভক্ত-অনুরাগীরা। হঠাৎ এই দুই তারকার ক্যারিয়ার ও আয়ু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতীয় জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং।

কয়েক দিন আগে সিদ্ধার্থ কানানকে সাক্ষাৎকার দেন জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “শাহরুখ খানের সময় ভালো যাচ্ছে, ২০২৭ পর্যন্ত তার সময় ভালো কাটবে। কিন্তু সালমানের সময়টা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। ২০২৫, ২০২৬, ২০২৭— এই তিন বছরই তার খারাপ যাবে।”  

শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সুশীল কুমার সিং। তার ভাষায়— “দুজনের মধ্যে একটা মিল রয়েছে; একই বছরে মারা যাবেন সালমান খান ও শাহরুখ খান। ৬৭ বছর বয়সে তাদের মৃত্যু হবে। সালমান খান খুব দ্রুত গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবেন, যে রোগের নাম উল্লেখ করছি না।”

আরো পড়ুন:

রাশমিকার সঙ্গে রোমান্স, সালমান নিলেন ১৬৭ কোটি টাকা

প্রথম প্রেম ও সালমানের জীবনে ১৮ নারী

১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। বর্তমানে তার বয়স ৫৯ বছর ৪ মাস। অন্যদিকে, ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সালমান খান। তার বর্তমান বয়স ৫৯ বছর ২ মাস। অর্থাৎ শাহরুখের চেয়ে ২ মাসের ছোট সালমান। তবে ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের। 

দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২৩ সালে রাজকীয়ভাবে বড় পর্দায় ফিরেন শাহরুখ খান। একই বছর তিনটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা উপহার দেন তিনি। এগুলো হলো— ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডাঙ্কি’। এরপর শাহরুখের আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। যার ফলে, প্রিয় তারকার নতুন সিনেমার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তার অভিনীত ‘কিং’ সিনেমা চলতি বছরে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

অনেক দিন ধরে হিট সিনেমা নেই সালমানের ঝুলিতে। বর্তমানে ‘সিকান্দার’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন রাশমিকা মান্দানা। ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: বলিউড শাদি

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ