শ্রীলীলা-কার্তিকের প্রেম, গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন অভিনেতার মা
Published: 12th, March 2025 GMT
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। অভিনেত্রী সারা আলী খানের সঙ্গে তার প্রেম নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। তারপর এ অভিনেতার নাম জড়ায় অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে। কিছু দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলীলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কার্তিক। আর এ গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন অভিনেতার মা।
কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ড। এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কার্তিক আরিয়ানের মা মালা তিওয়ারি। সেখানে পরিচালক-সঞ্চালক করন জোহর কার্তিকের মায়ের কাছে জানতে চান, পুত্রবধূ হিসেবে কাকে আপনার পছন্দ? এ প্রশ্ন শোনার পরই দর্শক সারি থেকে সমস্বরে বলতে থাকেন— অনন্যা। কিন্তু কার্তিকের মা বলেন, “না না। সে (কার্তিক) একজন ডাক্তারের কথা বলেছে।”
এ কথা শোনার পরই করন জোহর চলে যান কার্তিকের কাছে। তার কাছে জানতে চান, “তুমি একজন ডাক্তারের সঙ্গে কাজ করছো?” জবাবে কার্তিক আরিয়ান বলেন, “না না, সত্যিকারের ডাক্তারের কথা বলেছি।”
আরো পড়ুন:
গোবিন্দকে কেন গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান?
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার কারণ জানালেন কারিনা
২০০১ সালের ১৪ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলীলা। ২০২১ সালে সেখানে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। পরবর্তীতে বড় পর্দায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী।
অনুরাগ বসু পরিচালিত নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন শ্রীলীলা ও কার্তিক আরিয়ান। শোনা যাচ্ছে, সিনেমাটির নাম ‘আশিকি থ্রি’। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি এই নির্মাতা। তবে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করেননি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক র ত ক আর য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’