গ্রিম ভাইদের রূপকথা ‘স্লো হোয়াইট’-এর প্রধান চরিত্র সম্পর্কে লেখা ছিল, ‘বরফের মতো সাদা।’ পর্দায় চরিত্রটি দেখতেও তাই তেমনই হবে, এমনটাই আশা করেন ভক্তরা। তাই বছর চারেক আগে ‘স্লো হোয়াইট’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে যখন রেচেল জেগলারের নাম ঘোষণা করা হয়, প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। সিনেমা মুক্তির আগে আরও ছড়িয়েছে সে বিতর্ক। সেটা এতটাই যে সিনেমাটির প্রিমিয়ার সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে ডিজনি।

১৯০২ সালে ‘স্লো হোয়াইট’ থেকে প্রথম যে সিনেমা হয়, সেটি ছিল নির্বাক। এরপর নির্বাক, সবাক, অ্যানিমেশন—নানাভাবে পর্দায় এসেছে ‘স্লো হোয়াইট’। নতুন করে বড় পর্দায় আবার রূপকথাটি নিয়ে আসছে ডিজনি। ২১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মার্ক ওয়েবের ‘স্লো হোয়াইট’। এর আগে ১৫ মার্চ হলিউডের এল ক্যাপিটান থিয়েটারে হওয়ার কথা প্রিমিয়ার। ডিজনি সাধারণত অনেক বড় আয়োজনে সিনেমার প্রিমিয়ার করে। তবে ভ্যারাইটি জানিয়েছে, বিতর্কের জেরে এবারের প্রিমিয়ার হবে নামকাওয়াস্তে, সাংবাদিক, আলোকচিত্রী ও অতিথিদের সংখ্যা থাকবে সীমিত। যদিও এ বিষয়ে ডিজনির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

কলম্বীয় বংশোদ্ভূত রেচেল জেগলার উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, তিনি ‘স্লো হোয়াইট’-এর প্রধান অভিনেত্রী হওয়ার উপযুক্ত নন—এ–ই হলো বিতর্কের মূল সুর।

আরও পড়ুন‘সেক্স এডুকেশন’ অভিনেত্রীর মুখোমুখি কারিনা, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে বললেন.

..৮ ঘণ্টা আগে

তাঁকে নিয়ে যে এত সমালোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল জেগলার। দুই বছর আগে ভ্যারাইটিকে বলেছিলেন, ‘রূপকথার রাজকুমারী আমাকে বাঁচাতে আসবে না, আমাকেই নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে এটা (বিতর্ক) কাটিয়ে উঠতে হবে।’

তবে জেগলারকে নিয়ে বিতর্ক তীব্র হওয়ার পেছনে অনেকে রাজনীতি দেখছেন। অভিনেত্রী অনেক দিন ধরেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সরব।

‘স্লো হোয়াইট’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় ইট

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ