গত বছরের অক্টোবরে ধর্মা প্রোডাকশনস যখন তাদের নতুন সিনেমা ‘জিগরা’ মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তারা কিছুটা নার্ভাসও ছিল। ধর্মা ভারতের ৪৫ বছরের পুরোনো প্রযোজনা সংস্থা, যদিও করণ জোহরের সংস্থাটি এখন টিকে থাকার লড়াই করছে। ২০১৯ সাল থেকে সংস্থাটির সিনেমাই সেভাবে ভালো করতে পারেনি। গত বছর ধর্মার মুক্তি পাওয়া চার সিনেমার একটি বলার মতো ব্যবসা করেছে।
ধর্মার নিট মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩ সালে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার মুনাফা পরের বছর কমে ৬৮ হাজার ডলারে নেমে এসেছে। সংস্থাটির অনেক ম্যানেজার ও নির্মাতার কয়েক মাসের বেতন বকেয়া। এমন পরিস্থিতিতে গত বছর করণ জোহর ধর্মা প্রোডাকশনসের ৫০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেন।

‘জিগরা’–রহস্য
এবার আসা যাক ‘জিগরা’ প্রসঙ্গে। থাইল্যান্ডের প্রেক্ষাপটে নির্মিত থ্রিলার সিনেমা ‘জিগরা’। ৮০০ মিলিয়ন রুপি বাজেটে নির্মিত সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে ছিলেন আলিয়া ভাট, বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের একজন। আলিয়া সিনেমাটির সহপ্রযোজকও বটে। ধর্মা প্রোডাকশনস এমন একটা আবহ তৈরি করে যেন ‘জিগরা’ হিট হতে যাচ্ছে। সিনেমাটি মুক্তির কয়েক সপ্তাহ আগে এর পোস্টার ও ট্রেলার মুক্তি পায়। প্রযোজনা সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দাবি করা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সিনেমাটির ট্রেলারের ভিউ ৪ কোটি ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে ট্রেলার দেখে বিভিন্ন দর্শকের রোমাঞ্চকর মন্তব্যও ধর্মা প্রোডাকশনসের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলে প্রকাশ করা হয়।

‘জিগরা’ সিনেমায় আলিয়া ভাট। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ