রোহিতের ভারত কি ওয়ানডেতে সর্বকালের সেরা দল—প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন স্টার্ক
Published: 13th, March 2025 GMT
২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৩ মার্চ—এই সময়ের মধ্যে ৪৫টি ওয়ানডে খেলেছে ভারত দল। এর মধ্যে জিতেছে ৩৫টিতেই। হেরেছে ৯টিতে, একটি ম্যাচ হয়েছে টাই। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত দল ওয়ানডেতে কতটা দুর্বার হয়ে উঠেছে, এই পরিসংখ্যানই সেটা বলে দেয়।
এই সময়ে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ভারত, ঘরের মাঠের সেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অবশ্য হেরেছেন রোহিত–কোহলিরা। তবে সদ্য শেষ হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। ভারতের এমন পারফরম্যান্সের পর কেউ কেউ বলছেন, রোহিতদের দলটি ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা। এ বিষয়ে আবার ভিন্নমতও আছে।
যশপ্রীত বুমরা আর মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেলদের সঙ্গে রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী যোগ হয়ে স্পিন আক্রমণও আগের থেকে শক্তিশালী। আর ব্যাটিং লাইনআপের প্রায় প্রতিটি পজিশনেই আছে একাধিক বিকল্প। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এই ভারত দলের বেঞ্চের শক্তিও অসাধারণ।
অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//