এই শহরের শিশুরাও পার্কে যেতে চায়
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজধানীর রমনা পার্ক। পার্কের শিশুচত্বরের স্লিপার বেয়ে নামতে চেষ্টা করছিল ছোট্ট এক মেয়েশিশু। পরনে আকাশি রঙের জামা। ভারসাম্য ঠিক রাখতে স্লিপারের দুপাশ থেকে সন্তানের দুই হাত ধরে রেখেছিলেন মা ও বাবা। শিশুটির নাম আরশী খন্দকার।
বৃহস্পতিবার আরশীর জন্মদিন। তিন বছর পূর্ণ হয়েছে তার। জন্মদিনে ঘুম ভাঙতেই আড়মোড়া ভেঙে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বলেছে, ‘আজ তো একটু রমনা পার্কেও যেতে পারতাম।’ জন্মদিনে একমাত্র সন্তানের আবদার মেটাতে তাই পার্কের শিশুচত্বরে ছুটে এসেছেন মা–বাবা।
মা সামিয়া ইয়াসমিন আরশীকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বললেন, তাঁর এই ছোট্ট মেয়েকে সপ্তাহে অন্তত একদিন রমনা পার্ক বা অন্য কোনো খোলা জায়গায় নিয়ে যেতে হয়। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা খন্দকার রবিউল ইসলাম। তিনি এগিয়ে এসে জানালেন, তাঁর সন্তানটি গাছ ভালোবাসে। বাসার ছাদের গাছে পানি দেয় সে।
জন্মদিনে সন্তান আরশীকে নিয়ে মা–বাবা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মাইলস্টোন ছাত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় বাসার ছাদ থেকে পড়ে মাইলস্টোন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তানহা (১৪) মারা গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বৃষ্টিতে ভিজতে ছাদে উঠেছিল সে।
তানহার বোন তাবাসসুম বলেন, বৃষ্টিতে ভেজার সময় হঠাৎ ছাদ থেকে পড়ে যায় তানহা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তানহা পাবনা সদর উপজেলার আব্দুস সালামের মেয়ে। আফতাবনগর পাসপোর্ট অফিসের পাশে পরিবারের সঙ্গে থাকত সে।
এদিকে একই দিন দুপুরে গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চ পার্কের পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যায় ইয়াসিন ওরফে নিরব (১৫)। তার বন্ধু জুবায়ের আহমেদ জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে কয়েকজনের সঙ্গে গোসল করতে নামে নিবর। এ সময় পানিতে ডুবে গেলে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সে সৈয়দপুরের মৃত এনায়েত হোসেনের ছেলে। গুলিস্তানে ফুটপাতে সে ঘড়ি বিক্রি করত।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক জানান, দু’জনের লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুই ঘটনায় আলাদা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।